গত মঙ্গলবারের ঘটনা। চন্দননগরে একটি স্বর্ণ ঋণদানকারী ব্যাঙ্কে ডাকাতির জন্য জড়ো হয়েছিল ডাকাতদল। ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই পুলিশের কাছে খবর যায়। এরপর শহর থেকে বের হওয়ার সমস্ত রাস্তা, ফেরি বন্ধ করে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে গভীর রাতে ধরা পড়ে দুজন দুষ্কৃতী।এদিকে ঘটনার তদন্তে নেমে দুঁদে পুলিশ কর্তারাও হতবার। পুলিশ দেখে পোর্টেবল জ্যামার মেশিন নিয়ে ডাকাতি করতে এসেছিল ডাকাতদল। পুলিশ ইতিমধ্যে ওই ডাকাতদলের কাছ থেকে দুটি এই ধরনের জ্যামার, ধৃত তিনজনের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও প্রায় ৬০টি গুলি বাজেয়াপ্ত করেছে। তিনটি বাইকও পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে।
চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষ বলেন, আশ্চর্যের ব্যাপার যে, ডাকাতদলটি মোবাইল সিগন্যাল ব্লক করার জন্য জ্যামার ব্যবহার করেছিল। ঘটনার পরপরই যখন স্পট থেকে অফিসাররা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন, তখন তাঁরা তা পারেননি। পরে আমরা বুঝতে পারি ডাকাতদলের একজনের সঙ্গে একটি জ্যামার রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, পালিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাতরা গুলি ছুঁড়ছিল। কয়েকজন বাংলায় কথা বলছিল না। তারা প্রতিবেশী রাজ্যের বাসিন্দা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। তবে যেভাবে ডাকাতি করা হয়েছে তাতে এটা পরিষ্কার যে তাদের ডাকাতির পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। তারা আঁটঘাট বেঁধেই ডাকাতি করতে এসেছিল। ডাকাতদলের চতুর্থ সদস্যের খোঁজে তল্লাশি চলছে।