বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > 498A: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে রোজকার ঝামেলা ৪৯৮এ নয়! জানাল কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি বেঞ্চ

498A: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে রোজকার ঝামেলা ৪৯৮এ নয়! জানাল কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি বেঞ্চ

অনেক বাড়িতেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে রোজকার ঝগড়া হয়। প্রতীকী ছবি। পিক্সাবে। 

আদালত জানিয়েছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে রোজকার যে ঝগড়া সেটার সঙ্গে ৪৯৮ এ ধারার যে নিষ্ঠুরতার অভিযোগ রয়েছে সেটা ঠিক মেলে না। এক্ষেত্রে সাধারণ যে অভিযোগগুলি করা হচ্ছে তার সঙ্গে সেকশন ৪৯৮ এ মেলে না।

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে রোজকার ঝগড়া। বাড়িতে কাক পক্ষী বসতে পারছে না। স্ত্রী অভিযোগ করছেন তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে। তবে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি বেঞ্চ সম্প্রতি একটি নির্দেশে জানিয়েছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্য়ে রোজকার ঝগড়া হলে সেটা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮ এ-র আওতায় পড়ছে না। আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি সুগত মজুমদার ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরোপ করা ৪৯৮ এ-র ধারা থেকে মুক্তি দিয়েছেন। ওই ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীর উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালাতেন বলে অভিযোগ।

তবে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা ও ৩২৩ ধারায় তার বিরুদ্ধে ১০০০ টাকার জরিমানা আরোপ করার বিষয়টিকে খারিজ করা হয়নি।

আদালত জানিয়েছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে রোজকার যে ঝগড়া সেটার সঙ্গে ৪৯৮ এ ধারার যে নিষ্ঠুরতার অভিযোগ রয়েছে সেটা ঠিক মেলে না। এক্ষেত্রে সাধারণ যে অভিযোগগুলি করা হচ্ছে তার সঙ্গে সেকশন ৪৯৮ এ মেলে না।

সেই সঙ্গে আদালত জানিয়েছে, ওই স্বামী ৪৯৮ এ ধারায় অভিযুক্ত এনিয়ে সিদ্ধান্তে এসে কিছুটা ভুল করেছে ট্রায়াল কোর্ট। খবর বার অ্যান্ড বেঞ্চ সূত্রে।

এদিকে ওই মামলায় দেখা গিয়েছে স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন ২০১৬ সালের ৩১ মে তারিখে। তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে তার স্বামী পণের দাবিতে তার উপর অত্যাচার করছে। খুনের চেষ্টা করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেছিলেন।

তাঁর অভিযোগ স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন ৫০,০০০ টাকা পণ চাইছে। না দিতে পারায় অত্যাচার চরমে উঠেছে। এমনকী একটি রেল স্টেশনের আগে তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন স্বামী। দুজন তাঁকে কোনরকমে বাঁচান। এদিকে কোচবিহারের তুফানগঞ্জের সেশন কোর্ট অভিযুক্তকে ৪৯৮ এ ধারায় অভিযুক্ত করে।

তাকে ৬ মাসের জন্য জেলে পাঠানো হয়। তবে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি বেঞ্চ সম্প্রতি একটি নির্দেশে জানিয়েছে, স্ত্রীর দাদাও বলছেন মদ্যপ অবস্থায় তার বোনের উপর অত্যাচার করা হয়। কিন্তু সেখানেও কোনও টাকা দাবির ব্যাপার নেই।

আদালত জানিয়েছেন, মহিলা বলছেন তাকে খুন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু কেবল কামড়ের সাধারণ দাগ রয়েছে। যারা বাঁচিয়েছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে তারাও বলছেন অভিযুক্ত সেখানে ছিলেন না।

 

বন্ধ করুন