লকডাউনের জেরে কাজ না থাকায় অবসাদে আত্মঘাতী হলেন আরও এক প্রান্তিক মানুষ। ঘটনা শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়ায়। মৃত বিমল মুন্ডা (২৯) দিনমজুরি করতেন। লকডাউনের জেরে গত প্রায় ১ মাস ধরে কাজ ছিল না তাঁর। স্ত্রী ও ২ সন্তানকে নিয়ে কী করে সংসার চালাবেন তা ভেবে দিশেহারা হয়ে উঠেছিলেন বিমল। তা থেকে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অনুমান।
ঘটনা ফাঁসিদেওয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দোসীমানার হেরগছ গ্রামের। সোমবার সেখানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতীয় হন বিমল মুন্ডা। মৃতের স্ত্রী মণীষা জানিয়েছেন, লকডাউনে কাজ হারানোয় অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিলেন বিমল। সংসারে অনটন শুরু হয়েছিল। ২ সন্তানের মুখে কী ভাবে অন্ন তুলে দেবেন তা ভেবে দিশেহারা হয়ে উঠেছিলেন তিনি।
বিমলের আত্মঘাতী হওয়ার খবর পৌঁছেছে ফাঁসিদেওয়ার বিডিও সঞ্জু গুহ মজুদারের কানে। তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিয়ে পরিবারটির পাশে দাঁড়াবে প্রশাসন। দরকারে সামাজিক প্রকল্পের আওতায় আনা হবে পরিবারটিকে।
তবে এবারই প্রথম নয়, গত ৩০ এপ্রিল ফাঁসিদেওয়াতেই আত্মঘাতী হয়েছিলেন পেশায় কৃষক নিতাই বিশ্বাস (২৬)। বোরো মরশুমে ফসল বিক্রি করতে না পারায় তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে দাবি করেছে পরিবার।