বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > জনসমাগম এড়াতে মহালয়ায় বন্ধ থাকবে দক্ষিণেশ্বর মন্দির ও বেলুড় মঠ

জনসমাগম এড়াতে মহালয়ায় বন্ধ থাকবে দক্ষিণেশ্বর মন্দির ও বেলুড় মঠ

দক্ষিণেশ্বর মন্দির (ছবি সৌজন্য ফেসবুক)

উল্লেখিত এই দিনগুলো বাদ দিয়ে, সকাল ৮ থেকে ১১ টা ও দুপুর ৩টে ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে বেলুড় মঠ। তবে মাঠ প্রাঙ্গনে ঢোকার জন্য গেটের মুখে দর্শনার্থীদের করোনা টিকাকরণের শংসাপত্র ও পরিচয় পত্র দেখিয়ে প্রবেশ করতে হবে

মহালয়ার দিনে বন্ধ থাকবে দক্ষিণেশ্বর মন্দির ও বেলুড় মঠ। করোনাকালে জমায়েতে এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণেশ্বর ও বেলুড়ের গঙ্গায় পিতৃ তর্পণ করতে আসেন অসংখ্য মানুষ। হাজার হাজার মানুষ এই দুই তীর্থস্থানের মন্দির সংলগ্ন তিনটি ঘাটে মহালয়ার তর্পণ করেন।

এবারেও অনুমান করা হচ্ছে ৫ হাজারের বেশি ভক্তরা চাঁদনী ঘাট, শ্রী মা ঘাট ও ফেরিঘাটে সমবেত হবেন। এই দিনে পিতৃপক্ষের সমাপ্তি ঘটে দেবীপক্ষের সূচনা হয়। মোট তিনটি ঘাটে জড়ো হন পিতৃহারা সন্তানেরা। কোমর সমান জলে নেমে সাত পুরুষেকে স্মরণের উদ্দেশ্যে তর্পণ সারেন তাঁরা। এই সময় গঙ্গার ঘাটগুলোতে তিল ধারণের জায়গা থাকে না। তবে করোনা কালে সম্পূর্ণ চিত্র বদলে গিয়েছে। গত দু' বছর ধরে লকডাউন ও তার পরবর্তী পরিস্থিতির মধ্যে জনবহুল এলাকায় জমায়েত এড়াতে বিধিনিষেধ জারি করেছে রাজ্য।

সেই মতো এবারও মহালয়ার দিনে বন্ধ থাকবে দক্ষিণেশ্বর মন্দির ও বেলুড় মঠ। পিতৃ তর্পনের জন্য আসা পিতৃহারাদের জমায়েত এড়ানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সদর দফতর বেলুড় মঠও বন্ধ থাকবে।

এই প্রসঙ্গে মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুভিরানন্দ মহারাজ বলেন, 'আমরা মহালয়া, দুর্গা পুজো ও ছট পুজো উপলক্ষ্যে দর্শনার্থীদের জন্য বেলুর মঠ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা আশা করছি আমাদের ভক্ত ও অন্যরা আমাদের সমস্যাগুলি বুঝতে পারবেন।' একই সঙ্গে মানুষের কাছে সহযোগিতার আবেদন জানান তিনি। উল্লেখিত এই দিনগুলো বাদ দিয়ে, সকাল ৮ থেকে ১১ টা ও দুপুর ৩টে ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে বেলুড় মঠ। তবে মাঠ প্রাঙ্গনে ঢোকার জন্য গেটের মুখে দর্শনার্থীদের করোনা টিকাকরণের শংসাপত্র ও পরিচয় পত্র দেখিয়ে প্রবেশ করতে হবে।

গত বছর, হুগলির বিভিন্ন ঘাটে মহালয়া উপলক্ষে বিপুল জনসমাগম হয়েছিল। লালবাজারের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক বলেন, 'আমরা মহালয়া উপলক্ষে সমস্ত ঘাটের নিরাপত্তার পরিকল্পনার চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ায় আছি।'

প্রসঙ্গত, করোনার বিরুদ্ধে লড়তে শুরু থেকেই জমায়েত এড়িয়ে চলার আহ্বান জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। গত বছর মহালয় উপলক্ষে হুগলির বিভিন্ন ঘাটে বিপুল জনসমাগম হয়েছিল। সেই থেকে শিক্ষা নিয়ে এবারে কোনওভাবে সংক্রমণ যাতে না ছড়িয়ে পড়ে তার জন্য আরও কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।

 

বন্ধ করুন