গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা জিটিএ ভোট করানোর ব্যাপারে প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। কিন্তু সেই ভোট যাতে এখনই পাহাড়ে না হয় সেকারণে বার বার আপত্তি তুলছিলেন মোর্চা নেতৃত্ব। এবার একেবারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে চিঠিই দিয়ে ফেললেন মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং। শনিবার দুপাতার একটি চিঠি তিনি বাংলার মুখ্য়মন্ত্রীকে পাঠিয়েছেন। মোর্চা নেতার মতে, এখনই জিটিএ ভোট করা ঠিক হবে না।
বিমল গুরুংয়ের দাবি, পাহাড় সমস্যার স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান করার পরেই পাহাড়ে জিটিএ ভোট করা দরকার। এদিকে পাহাড় সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের একটি খসড়া আগেই রাজ্যের দরবারে জমা দিয়েছিল মোর্চা। সেই খসড়া অনুসারে এগোনর আবেদন জানিয়েছেন মোর্চা নেতৃত্ব। তবে জিটিএ ভোটে আপত্তি থাকলেও দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা পাহাড়ের পঞ্চায়েতগুলিতে ভোট করানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন মোর্চা নেতৃত্ব। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কী এমন হল যে জিটিএ ভোটে যেতেই চাইছেন না বিমল গুরুং অ্যান্ড কোং?
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে পাহাড়ে ফিরে এসেছিলেন বিমল গুরুং। কিন্তু তারপর থেকেই মোর্চা নেতৃত্ব আঁচ করেন, জনভিত্তির সেই জমি আর নেই। সেই জমি ধসতে শুরু করেছে। গত পুরসভা নির্বাচনেই তার প্রমাণ পান বিমল গুরুং। সদ্য তৈরি হওয়া হামরো পার্টির দখলে চলে যায় দার্জিলিং পুরসভা। সেই পরিস্থিতিতে এখন জিটিএ ভোট হলে মোর্চা কতটা দাগ কাটতে পারবে তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই গিয়েছে। সেকারণেই কি পাহাড়ে আরও কোণঠাসা হতে পারেন এই আশঙ্কাতেই জিটিএ ভোট নিয়ে এত আপত্তি বিমল গুরুংয়ের?