নাগাড়ে বৃষ্টি হওয়ার জেরে ধস নেমেছে নানা জায়গায়। ভেঙে পড়েছে রাস্তাঘাট। আর কালিম্পং, দার্জিলিং থেকে সিকিম যাওয়ার একমাত্র লাইফলাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তার ফলে এখান দিয়ে যাতায়াত করা যাচ্ছে না। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সমতল থেকে পাহাড়ে যাওয়ার পথে। সিকিম থেকে কালিম্পং যোগাযোগের একমাত্র পথ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকায় পর্যটকদের অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। তিস্তা তার গতিপথ পাল্টেছে। তাই সরাসরি প্রভাব পড়ছে জাতীয় সড়কের উপর। এই আবহে কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ির সঙ্গে দেখা করলেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা। এবারও তিনি জিতে সংসদে গিয়েছেন। আর এখন সংসদে বাদল অধিবেশন চলছে।
বিজেপির সাংসদ রাজু বিস্তা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন, জাতীয় সড়ক দেখভালের দায়িত্ব রাজ্য সরকারের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দেওয়া হোক। একই দাবি জানিয়েছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমসিংহ তামাং। নয়াদিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক দেখভাল, মেরামত ও সংস্কারের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দেওয়ার দাবি জানিয়ে এসেছিলেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী। একই দাবি তুললেন দার্জিলিংয়ের সাংসদও। বাংলার সরকার এই সড়ক নিয়ে উদাসীন বলেও অভিযোগ রাজুর।
আরও পড়ুন: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের মানবিকতায় মুগ্ধ কর্মীরা, অসুস্থদের দেখে এলেন অমর্ত্য সেন
দার্জিলিং জেলার করোনেশন সেতু থেকে সিকিমের গ্যাংটক পর্যন্ত যোগাযোগের ‘লাইফলাইন’ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। ওই জাতীয় সড়ক মেরামত ও সংস্কারের কাজ করত সিপিডব্লিউডি। ১৯৮০ সাল থেকে রাস্তার দেখভাল করে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন। তার ১০ বছর পর রাজ্য সরকারের পূর্ত দফতর এই রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পায়। মেরামতের টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দিলেও কাজ করে পূর্ত দফতর। তবে মঙ্গলবার রাজু বিস্তা জানান, রাজ্যের পূর্ত দফতরের থেকে সড়ক দেখাশোনার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
একদিকে তিস্তা নদীর জল ফুলে উঠেছে। অপরদিকে বন্ধ করে দিতে হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। এই বিষয়ে দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, ‘১০ নম্বর জাতীয় সড়ক সিকিম–বাংলার লাইফলাইন। তার সঙ্গে জড়িত দেশের নিরাপত্তাও। গোটা উত্তরবঙ্গের পর্যটন ওই সড়কের উপর নির্ভরশীল। বাংলার সরকারের উদাসীনতা এবং গাফিলতির জেরে সড়কের এই বেহাল দশা। এটা মেরামত না হওয়ার জেরে এখন ওই সড়ক তিস্তা গ্রাস করছে। আমি নীতীনজিকে আবেদন করেছি, যাতে ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট বা ন্যাশনাল হাইওয়েজ অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার মতো সংস্থা ওই সড়কের দায়িত্ব নেয়। তখনই মন্ত্রী ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের দায়িত্ব রাজ্য সরকারের থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মন্ত্রকের অফিসারদের করতে নির্দেশ দেন।’