রাত পোহালেই বাংলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন হবে। এই আবহের মধ্যেই কেঁপে উঠল পাহাড়। উত্তরবঙ্গের দুটি বিধানসভা কেন্দ্র—সিতাই এবং মাদারিহাটে বুধবার ভোট হবে। এখন উত্তরবঙ্গ সফরে আছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অফিসাররা। তার মধ্যেই পাহাড়ে মৃদু কম্পন অনুভূত হল। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৩.৫। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল সিকিমের তাদং থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে বলে জানা গিয়েছে। দার্জিলিং–সহ কার্শিয়াং, সোনাদা, মংপোতে সামান্য কম্পন অনুভূত হয়েছে। এই ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে পর্যটক থেকে মানুষজনের মধ্যে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকাকালীন এমন ঘটনা ঘটায় নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। সিকিমের তাদং ভূমিকম্পের উৎসস্থল হওয়ায় গ্যাংটক-সহ সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়। সিকিম যেহেতু এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল তাই মৃদু কম্পন অনুভূত হয়েছে শৈলশহরের কিছু অংশে। ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল একেবারে ৫ কিমি পর্যন্ত। তাই অনেকে চমকে ওঠেন। কেন এমন ভূমিকম্প এখন হল? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ভূমিকম্পের তীব্রতা যেহেতু কম ছিল তাই কোথাও কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।
আরও পড়ুন: তালড্যাংরা বিধানসভা কেন্দ্রের তিন প্রার্থীই ব্রাহ্মণ সমাজভুক্ত, নয়া সমীকরণে হবে লড়াই
এখন দুয়ারে শীত। এই মরশুমে পর্যটকরা পাহাড়ে প্রকৃতি ও পরিবেশের মেলবন্ধনে মনোরম আবহাওয়া উপভোগ করেন। তাই সেখানে এখন পর্যটকদের ভিড় রয়েছে। আজ, মঙ্গলবার যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ম্যালে বেরিয়ে ছিলেন তখন পর্যটকদের ভিড় দেখা গিয়েছিল। তাতে বোঝা গিয়েছে, সেখানে ভিড় করেছে পর্যটকরা এবং মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেন তাঁরা। আগেও একাধিকবার পাহাড়ে ভূমিকম্প হয়েছিল। তাই স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি নিয়ে ভয়ে থাকেন। কারণ সেখানে যদি একটা অঘটন ঘটে তাহলে তার ভয়াবহতা হয় মারাত্মক।
চলতি বছরের অগস্ট মাসেও উত্তরবঙ্গে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সেই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলও ছিল সিকিমের তাদং থেকে ২৯ কিলোমিটার দূরে। যার গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। রিখটার স্কেলে ওই ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৪.৫। আর সেই ভূমিকম্পের উৎসস্থল সিকিম হওয়ায় উত্তরবঙ্গের নানা এলাকাও কম্পন অনুভব করে। শিলিগুড়ি ছাড়াও ওই ভূমিকম্প টের পেয়েছিল জলপাইগুড়ি–সহ ডুয়ার্সের একাধিক এলাকা। যদিও এবারের ভূমিকম্প অগস্ট মাসের থেকে কম তীব্র। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের গ্যাংটক শাখার আধিকারিক গোপীনাথ রাহা জানান, কয়েক মাস ধরে মাঝেমধ্যেই ভূমিকম্প হচ্ছে। সিকিম ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা। তাই সিকিমে ভূমিকম্প হলে তার প্রভাব পড়ে পাহাড়ে।