পুজোতে দার্জিলিংয়ে বেড়াতে যাওয়া মানেই পাহাড়ের ঠাকুর দেখাটা একটা বাড়তি পাওনা। পুজো দেখা আর বেড়াতে যাওয়া দুটোই একসঙ্গে। পাহাড়ের একাধিক পুজো মণ্ডপে পর্যটকরা ভিড় জমাচ্ছেন। পাহাড় থেকে ডুয়ার্স সর্বত্র পুজো মণ্ডপে দেখা যাচ্ছে পর্যটকদের। এমনকী অষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি কিংবা নবমীর পুজোতেও অংশ নেন তাঁরা।
পাহাড়ের প্রায় ৬২০০ ফুট উচ্চতায় সুনতালে গ্রামে। এবারই প্রথম পুজো হচ্ছে সেখানে। পাহাড় দেখার ফাঁকে একবার হোমস্টে থেকে দুপা বাড়িয়ে অনেকেই চলে যান সেই পুজোতে। আসলে ঢাকের বোল শুনলে সবারই একবার মনে হয় ঠাকুরের মুখটা দেখে আসি।
গরুবাথান, মানজিং সর্বত্রই পুজো দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা। আসা যাওয়ার পথে গাড়ি থামিয়ে একবার দেখে নেওয়া ডুয়ার্সের ছিমছাম পুজো। কলকাতার মতো সুবিশাল মণ্ডপ হয়তো নেই। কিন্তু আন্তরিকতা আর ভক্তি রয়েছে পুরোদমে।
দার্জিলিংয়ে চকবাজারের কাছে চাঁদমারির নৃপেন্দ্রনারায়ণ বাঙালি হিন্দু হলের পুজোকে পাহাড়ের অন্যতম প্রাচীন পুজো বলে গণ্য করা হয়। প্রায় শতাধিক বছরের প্রাচীন এই পুজো। এখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। প্রসাদ গ্রহণের জন্য়, অঞ্জলি দেওয়ার জন্য় এখানে জড়ো হন পর্যটকরাও।
এছাড়াও কার্শিয়াংয়ে রাজ রাজেশ্বরী হলের পুজো অন্যতম প্রাচীন পুজো। সেখানেও পুজো হয়। একটা সময় টয়ট্রেনে দার্জিলিংয়ে আসত প্রতিমা। পাহাড়ি ঝর্ণায় বিসর্জন দেওয়া হত। তবে বর্তমানে সেই আগের রেওয়াজ আর বিশেষ নেই। বর্তমানে দুধিয়া নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয় প্রতিমা। দার্জিলিংয়ের অভেদানন্দ আশ্রমেও পুজোর আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি পুজোর দিনগুলিতে অনেকেই মহাকাল ধাম, রকভিল ধাম, ইডেন ধাম মন্দিরে যান।
সব মিলিয়ে পুরোদস্তুর পুজোর মেজাজে দার্জিলিং। কান ফাটানো মাইকের আওয়াজ সেভাবে নেই। কিন্তু ছিমছাম পুজোতে আছে আন্তরিকতা আর ভক্তিভাব।