পর্যটনের একেবারে ভরা মরসুম পাহাড়ে। দার্জিলিং পর্যটকে ভরপুর। পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত পাহাড়বাসীর অনেকের মুখেই এখন চওড়া হাসি। আর সেই সময়তেই বিমল গুরুংয়ের বার্তাকে ঘিরে অশান্তির সিঁদুরে মেঘ দেখছে পাহাড়। কয়েক বছর আগে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে বিমলের আন্দোলনকে ঘিরে অশান্ত হয়েছিল পাহাড়। দিনের পর দিন বনধ। বহুদিন পাহাড়মুখো হননি পর্যটকরা। এরপর দীর্ঘদিন অন্তরালে চলে গিয়েছিলেন বিমল গুরুং। পরে তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে তিনি ফিরে আসেন পাহাড়ে। আর এখন সেই বিমলের গলায় অন্য় সুর।
এদিকে আপাতত জিটিএ নির্বাচনে আপত্তি রয়েছে বিমল গুরুংয়ের। এনিয়ে তিনি চিঠিও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি চান পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান। আর এসব নিয়ে তিনি পাহাড়ে রিলে অনশনে বসার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আর সেটা হতে পারে দার্জিলিংয়ের ম্যালে। এদিকে দার্জিলিংয়ের বেড়াতে গেলে পর্যটকদের অন্যতম গন্তব্যস্থল থাকে দার্জিলিং ম্যাল। আর সেই ম্যালেই আগামী বুধবার থেকে অনশনে বসতে পারে মোর্চা। আপাতত দার্জিলিংয়ের সিংমারিতে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়ায় মোর্চার কার্যালয়ে শুরু হয়েছে রিলে অনশন। সেখানে কয়েকদিনের মধ্যে অনশনে বসতে পারেন বিমল নিজেও। আর পর্যটনের ভরা মরসুমে ম্যালে অনশনে বসলে স্বাভাবিকভাবেই পর্যটকদের মধ্যে অন্যরকম প্রভাব পড়তে পারে।
কিন্তু তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বিমল গুরুং কেন আচমকা জিটিএ নির্বাচন নিয়ে এমন বেসুরো গাইছেন? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আসলে পাহাড়ে ফিরলেও আগের সেই জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে গুরুংয়ের। সেকারণেই জিটিএ নির্বাচন নিয়ে এবার অন্য সুর তাঁর গলায়। এখনই জিটিএ নির্বাচনে গেলে মোর্চা কতটা সুবিধা করতে পারবে তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। সেকারণেই কি স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের দাবি তুলে স্রোতের মুখ ঘোরাতে চাইছেন গুরুং?