এবার পর্যটকরা দার্জিলিংয়ে গিয়ে প্যানোরামিক সূর্যোদয় দেখতে পাবেন। অর্থাৎ এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে চওড়াভাবে সূর্যোদয় দেখতে পাবেন। এমনই শৈলশহর অত্যন্ত সুন্দর। তার উপর যদি এমন ব্যবস্থা তৈরি হয় তাহলে অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে পর্যটকদের কাছে। জিটিএ’র পর্যটন দফতর এবার পরিকল্পনা করছে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা করে সূর্যোদয়ের ২৭০ ডিগ্রি ভিউ তৈরি করতে। অগস্ট মাস থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে অনেক ছুটি রয়েছে। সেক্ষেত্রে পর্যটকরা এসে সেখানে ভিড় জমাবেন। তাতে পাহাড়ের মানুষজনের আয় বাড়বে।
দার্জিলিংয়ে একাধিক সূর্যোদয় দেখার ভিউ পয়েন্ট রয়েছে। কাঞ্চনজঙ্ঘা পাহাড়ের কোলে গা ভাসিয়ে দিয়ে বহু পর্যটকই সূর্যোদয় উপভোগ করেন। কিন্তু সেটার ব্যাপ্তি সীমিত। আর জিটিএ’র পর্যটন দফতর যেটা তৈরি করতে চলেছে সেটার ব্যাপ্তি সীমিত নয়। বরং চোখ মেলে একপ্রান্ত থেকে আর এক প্রান্ত পর্যন্ত চওড়াভাবে সূর্যোদয় দেখতে পাবেন। যেটাকে ‘প্যানোরামিক সানরাইজ ভিউ’ বলা হচ্ছে। এই বিষয়ে জিটিএ’র পর্যটন দফতরের এক্সিকিউটিভ সদস্য নর্ডেন শেরপা বলেন, ‘আমরা নতুন দৃশ্য দেখার ব্যবস্থা করছি টাইগার হিলে। যেখান থেকে ২৭০ ডিগ্রি ভিউতে দেখা যাবে সূর্যোদয়। আর সেখানে থাকবে ক্যাফেটেরিয়া, রেস্তোরাঁ, ধ্যান করার ব্যবস্থা, টেলিস্কোপে দৃশ্য দর্শন এবং রিক্রিয়েশন রুম।’
আরও পড়ুন: পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রশ্নপত্রে ব্যাপক গরমিল, সিবিআইয়ের চার্জশিটে বিস্ফোরক তথ্য
এই তথ্য সামনে আসার পর থেকে বহু পর্যটক এখন খোঁজখবর করা শুরু করেছেন। সব জেনে নিয়েই দুর্গাপুজোর পর থেকে পর্যটকরা এখানে ঝাঁপিয়ে পড়বেন। তাই নর্ডেন শেরপার বক্তব্য, ‘আমরা সমীক্ষা করেছি। এখানে চারতলা যে পরিকাঠামো আছে তা প্রচণ্ড ঝড়ে কাঁপে। তাই অত্যাধুনিক ব্যবস্থা করে পর্যটকদের জন্য গড়ে তোলা হচ্ছে নয়া পরিকাঠামো।’ এখানে পর্যটকরা এসে শুধু সূর্যোদয়ের মনোরম দৃশ্য দেখার সঙ্গে আরামও করতে পারবেন। ক্যাফেটেরিয়া এবং রেস্তোরাঁয় আড্ডার ঝড় তুলতে পারবেন। যা পর্যটকদের চাহিদাও।
এছাড়া পর্যটক টানতেই এমন ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দার্জিলিং এমনিতেই পর্যটন নির্ভর জায়গা। কিন্তু নতুন কিছু দিতে না পারলে বারবার পর্যটকরা আসবেন কেন? এই প্রশ্ন থেকেই এমন পরিবেশ গড়ে তোলা হচ্ছে। এই বিষয়ে জিটিএ’র পর্যটন দফতরের এক্সিকিউটিভ সদস্য নর্ডেন শেরপা কথায়, ‘এখানে এখন পর্যটকরা এসে সূর্যোদয় দেখে সকাল ৭টার মধ্যে ফিরে যান। কারণ যানজট তৈরি হওয়ার ভয় থাকে। কিন্তু এই নতুন ব্যবস্থাপনায় পর্যটকদের একঘণ্টা বা তার বেশি সময় ধরে আটকে রাখা যাবে। এখানে ২০টি টেলিস্কোপ থাকছে। তার মাধ্যমে রাতের পাহাড়ও দেখতে পাবেন পর্যটকরা।’