দার্জিলিং মানেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে টয়ট্রেনের মজা। কিন্তু সেই টয়ট্রেনেই এবার পর্যাপ্ত যাত্রী হচ্ছে না বলে খবর।তবে শুধু টয়ট্রেনেই নয়, ডুয়ার্সের রুটে যে ভিস্তাডোম কোচ করা হয়েছে সেখানেও প্রত্যাশিত যাত্রী হচ্ছে না বলে খবর। এর জেরে এবার যাত্রী টানার জন্য নতুন করে চিন্তাভাবনা করছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষ।
টয়ট্রেনের রুটের সবথেকে বড় সমস্যা হল বিভিন্ন সময় পাহাড়ে ধস নামে। আর সেই ধসের জেরে টয়ট্রেনের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ধসের জেরেই দীর্ঘদিন ধরে গোটা রুটে টয়ট্রেন চলত না। মাঝেমধ্য়েই এই ধসের জেরে টয়ট্রেন বন্ধ রাখতে হয়েছে। আসলে পাহাড়ি পথে কখন ধস নামবে তা আগে থেকে বিশেষ বোঝা যায় না। সেক্ষেত্রে দেখা গেল যে পর্যটকরা টয়ট্রেনে চড়বেন বলে দার্জিলিংয়ে এসেছেন। কিন্তু সেদিনই ধসের জেরে টয়ট্রেন পরিষেবা বন্ধ। সেক্ষেত্রে হতাশ হতে হয় তাঁদের।
তবে পাহাড়ি পথে ধস নামার ঘটনা নতুন কিছু নয়। তবে অনেকেরই আশা পর্যটনের ভরা মরসুম শুরু হলে ফের টয়ট্রেনে যাত্রী হতে শুরু করবে।
এদিকে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে চলা রেলপথে বর্তমানে ভিস্তাডোম কোচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০২১ সালের ২৬শে অগস্ট এই ভিস্তাডোম কোচ পরিষেবা চালু হয়। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ার জংশন পর্যন্ত এই ট্রেন চালানো হয়। জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে ছুটতে থাকে ট্রেন। কাঁচের বিরাট বিরাট জানালা। তার মধ্য়ে দিয়ে দুচোখ ভরে প্রকৃতিকে দেখার সুযোগ মেলে এই ভিস্তাডোম কোচে।
মহানন্দা, গরুমারা, বক্সা, জলদাপাড়ার জঙ্গলের মধ্য়ে দিয়ে এই টুরিস্ট স্পেশাল ট্রেন চলে। প্রথমদিকে এই ট্রেনে প্রচুর ভিড় হত। যাত্রীদের মধ্য়ে বিশেষ উৎসাহ থাকত। কিন্তু যতদিন যাচ্ছে এই ট্রেনে চড়ার প্রতি যাত্রীদের উৎসাহ ক্রমেই কমছে। কিন্তু কেন?
কেন ট্রেনে চড়ে ডুয়ার্সের এই অপরূপ রূপ দেখতে চাইছেন না সাধারণ যাত্রীরা? গরুমারা, মহানন্দা, বক্সা, জলদাপাড়ার জঙ্গলের মধ্য়ে দিয়ে গিয়েছে এই রেললাইন। বন্য জীবজন্তুদের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রেখেই চালানো হয় এই ট্রেন। কিন্তু ভাগ্য ভালো থাকলে এই ভিস্তাডোম কোচে চাপলে দেখা যেতে পারে রেললাইনের ধারে দাঁড়িয়ে রয়েছে হাতি। তবে অনেকের দাবি, এই ট্রেনটি এমন সময় ছাড়ে যে তাতে পর্যটকদের অনেকেই উঠতে পারেন না। এই ট্রেনে চড়ার জন্য যাত্রীদের একদিন শিলিগুড়িতে থাকতে হয়। সেকারণে এই ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন না করলে এই ট্রেনে যাত্রী সংখ্য়া আরও কমবে।
এদিকে সূত্রের খবর, ট্রেনটিকে মালবাজার থেকে গরুমারা হয়ে চ্যাংড়াবান্ধা লাইনে চালানোর কথা ভাবা হচ্ছে। এখানেই প্রশ্ন ডুয়ার্সের রুট সংক্ষিপ্ত করলে কি আখেরে যাত্রী হবে?