এবার জিটিএ ভোটে কার্যত ক্ষমতা দখল করেছে অনীত থাপার দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। আর রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সম্পর্ক অনীত থাপার। পাশাপাশি জিটিএ ভোটে এবার খাতা খুলেছে তৃণমূলও। সব মিলিয়ে পাহাড়ে ভালো অবস্থানেই রয়েছে ঘাসফুল। অন্যদিকে জিটিএ ভোটে প্রার্থী না দিলেও পাহাড়ে অনীতের উত্থানকে ঘিরে সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিজেপি। আর তার জেরেই এবার পাহাড়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দ্রুত মিটিংয়ে বসতে চাইছে গেরুয়া শিবির।
সূত্রের খবর, আগামী ১০-১১ জুলাই কালিম্পং অথবা দার্জিলিংয়ে বৈঠকে বসতে পারেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে সাংসদ রাজু বিস্ত, পাহাড়ের বিজেপি বিধায়করা উপস্থিত থাকবেন বলে খবর।
এদিকে সূত্রের খবর বিগতদিনে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। এমনকী পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের কথাও উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে সেসব কিছু হয়নি। বিজেপি যে বহু ক্ষেত্রে কথা রাখতে পারেনি তা বুঝতে পেরেছেন পাহাড়বাসীর একাংশ। সেক্ষেত্রে বিজেপির প্রতি পাহাড়ের অনেকেরই আস্থা চলে গিয়েছে।
তবে সামনেই ২০২৪ সাল। এখনই ঘর গোছানো না শুরু করলে পাহাড়ে বিজেপির মাটিতে বড় ধস নামতে পারে। সেক্ষেত্রে মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে দিতে চাইছেন দলীয় নেতৃত্ব। তারই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ১১টি জনজাতিকে তফশিলি জাতিভুক্ত করার ক্ষেত্রেও দ্রুত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দরবার করবেন পাহাড় বিজেপির প্রতিনিধিদল। এমনটাও খবর।