মত্ত অবস্থায় প্রায় রোজ বৌমার উপর অত্যাচার করতেন শ্বশুর। রোজকার এই শারিরীক নিগ্রহ সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত একদিন পালটা রডের বাড়ি মেরে বসলেন বৌমা। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া জেলার জগাছা থানার অন্তর্গত ইছাপুর মাঝের পাড়ায়। জানা গিয়েছে, বৌমার রডের বাড়িতে শ্বশুরের মাথা ফেটে গিয়েছে। আক্রান্ত শ্বশুরের নাম মনোরঞ্জন দলুই।
সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটলে রক্তাক্ত অবস্থায় বছর পঞ্চাশের মনোরঞ্জন দলুইকে বাড়ির সামনে পড়ে থকাতে দেখেন প্রতিবেশীরা। এরপরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জাগাছা থানার পুলিশ। হাসাতালে নিয়ে যাওয়া হয় জখম মনোরঞ্জনকে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাকরা জানান যে চোখেও গুরুতর আঘাত লেগেছে মনোরঞ্জনের। তবে আপাতত প্রাথমিক চিকিত্সার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে। সিটি স্ক্যান করানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট দেখে চিকিত্সকরা পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করবে।
এদিকে মনোরঞ্জনকে প্রশ্ন করে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে মত্ত অবস্থায় মনোরঞ্জন তার বৌমার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। সোমবার অত্যাচার অত্যাচারের মাত্রা ছাড়ি গেলে এই কাণ্ড ঘটান বউমা। নির্যাতিতা বৌমা পুলিশকে জানান, সোমবার তাঁকে মারধর করছিল শ্বশুর। তাই নিজেকে বাঁচাতে রড দিয়ে আঘাত করেন তিনি। তবে মনোরঞ্জন এই অভিযোগ অস্বীকার করা করেন। আপাতত পুলিশ বৌমাকে আটক করেছে। যদিও মনোরঞ্জন লিখিত অভিযোগ জানাবেন না বলে আপাতত জানিয়েছেন।