উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি উদয়ন গুহের পুত্রবধূ অপরূপা গুহের মোবাইল নম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে আনায় বিপাকে পড়লেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বিরুদ্ধে ফুলবাগান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর পুত্রবধূ। তাঁর অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারী তাঁর নম্বর প্রকাশ্যে আনার পর থেকে তাঁকে ফোন করে গালিগালাজ এবং কটুক্তি করা হচ্ছে। এছাড়া হোয়াটসঅ্যাপে অশ্লীল বার্তা পাঠানো হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখার জন্য তিনি পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘এখন চাকরির কিছুটা সংকট রয়েছে’, উদয়নের মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়ল তৃণমূল
বকেয়া আদায়ের দাবিতে ধর্নায় বসেছে তৃণমূল। তারপরে অপরূপা শুভেন্দুকে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় লিখেছিলেন ‘১০০ দিনের টাকা চাই।’ এরপরে এর সমালোচনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর নম্বর প্রকাশ্যে এনেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপরে অপরূপার মোবাইলে একের পর এক বিজেপি কর্মী সমর্থকরা ফোন করে গালিগালাজ, কটুক্তি করতে থাকে। শেষে বাধ্য হয়ে তিনি মোবাইল ফোনটি সুইচ অফ করে দেন। এই ঘটনার পর অপরূপার একটি বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন উদয়ন। তিনি লিখেছেন, ‘বিজেপি হল অসভ্য, অশিক্ষিতের দল। তাদের বিরুদ্ধে কিছু বললে হয় সিবিআই, ইডি বা গালিগালাজ করে মানসিকভাবে হয়রানি করা হয়।’
যদিও বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে নারাজ শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘আমাকে যারা মেসেজ করেছিল তাদের নম্বর আমি সোশ্যাল মাধ্যমে দিয়েছি। আলাদাভাবে কারও নম্বর দিইনি।’ প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ফোন নম্বর প্রকাশ্যে এনেছিলেন। একইভাবে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারীর নম্বর তৃণমূল ছড়িয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। আর তারপরে প্রতিহিংসা স্বরূপ উদয়নের পুত্রবধূর নম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। যদিও বিজেপির এক নেতার দাবি, ইট মানলে পাটকেল খেতে হবে।
অপরূপা অভিযোগ করেছেন, শনিবার রাত ১০টার পর থেকেই তাঁর মোবাইলে ফোন করে গালিগালাজ দেওয়া শুরু হয়। শেষে তিনি মোবাইল সুইচ অফ করে দেন। পরে রবিবার সকালে একই ঘটনা ঘটতে থাকে। তিনি বলেন, ‘একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে একজন প্রতিনিধির কাছ থেকে অধিকার দাবি করেছিলাম। এটা আমার অধিকার। কিন্তু, শুভেন্দু অধিকারী যা করেছেন সেটা অসাংবিধানিক। একজন মহিলার নম্বর এইভাবে ভাইরাল করে তিনি অনৈতিক কাজ করেছেন।’