প্রাথমিক টেট নিয়োগ দুর্নীতিতে সোমবারই ২৬৯ জন শিক্ষককে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের সেই নির্দেশে বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকদের তালিকা জেলায় জেলায় পৌঁছতেই শাসকদলের অন্দরে পড়েছে হাহাকার। তালিকায় তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতা - নেত্রীর যেমন নাম রয়েছে, তেমনই নাম রয়েছে তাদের আত্মীয় ও সন্তানদেরও। তবে এই নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি নন কেউ।
আদালতের নির্দেশে হুগলি জেলায় ৬৮ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গুণধর খাঁড়ার ২ মেয়ের নাম। এলাকায় তৃণমূলের দীর্ঘদিনের কর্মী বলে পরিচিত গুণধরবাবু। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পদে বসার পর তাঁর পসার আরও বেড়েছে। এরই মধ্যে ২০১৭ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ পান তাঁর ২ মেয়ে সীমা ও শিবানী। মঙ্গলবার সকালে জেলায় যে তালিকা পৌঁছেছে তাতে ৫ নম্বরে নাম রয়েছে শিবানী খাঁড়ার, ৮ নম্বরে নাম রয়েছে সীমা খাঁড়া প্রামাণিকের।
২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আবেদনকারীরা আদালতকে জানিয়েছিলেন, এই নিয়োগপ্রক্রিয়ায় ২০১৭ সালে বেআইনিভাবে একটি দ্বিতীয় মেধাতালিকা তৈরি করা হয়। এই নিয়ে সংসদের আইনজীবীর দাবি ছিল, ২০১৪ সালের টেটে একটি প্রশ্ন ভুল ছিল। সেই প্রশ্নে অতিরিক্ত ১ নম্বর দেওয়া হয়েছে। আদালত পালটা প্রশ্ন করে বাকি ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থী কী দোষ করল? কোনও জবাব ছিল না সংসদের আইনজীবীর কাছে। এর পরই ২৬৯ জনকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন তিনি।