উড়ালপুলের নিচে আগুন লেগে ঝলসে গেল এক ব্যক্তির দেহ। উড়ালপুলের ছোট্ট একটি কুঠুরি থেকে ঝলসানো দেহটি উদ্ধার করেছে দমকল। তবে ছোট্ট কুঠিরির মধ্যে কীভাবে ওই ব্যক্তি পৌঁছল তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। দেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। আলিপুরদুয়ারে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাত ১২ টার সময় তারা উড়ালপুলের নিচে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন। তারাই পুলিশ এবং দমকলকে খবর দেন। পুলিশের বক্তব্য, উড়ালপুলের নিচে অনেক দোকানপাট রয়েছে। ফলে দাহ্য পদার্থ থাকায় দ্রুত আগুন সেখানে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন দমকল কর্মীরা। দমকলের দুটি ইঞ্জিনের সাহায্যে আগুন নেভাতে গিয়েও যথেষ্ট বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আগুন নেভাতে গিয়ে ওই ঝলসানো দেহ উদ্ধার করে দমকল বাহিনী। দেহটি এমনভাবে ঝলসে গিয়েছে যে তা শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তিনি পুরুষ নাকি মহিলা তাও বোঝা সম্ভব হয়নি। তবে মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন উঠেছে। একটি ছোট্ট কুঠুরির মধ্যে যেখানে মানুষ ঢোকা সম্ভব নয়, সেখানে কীভাবে দেহ পাওয়া গেল? ঘটনায় খুনের তত্ত্বও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। তাকে খুন করে কুঠুরির মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে আগুন ধরানো হয়েছে কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে পুলিশ মনে করছে।
আলিপুরদুয়ার দমকলের অধিকর্তা স্বপন দাস বলেন, 'মৃতের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে এ নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।' অন্যদিকে, এই ঘটনায় উড়ালপুলের নিচে অবৈধ দোকানপাট থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় এনিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন আলিপুরদুয়ার পুরসভার প্রশাসক বাবুল কর।