শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হল এক মহিলার ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল মালদহের চাঁচল এলাকায়। মৃতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ৬ বছর আগে চাঁচলের দরিয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রতিমা কর্মকারের সঙ্গে বিয়ে হয় চণ্ডীপুরের বাসিন্দা মনোজ থোকদারের। বিয়ের পর প্রথমদিকে সব ঠিকঠাক থাকলেও পরপর দুটি কন্যা সন্তান জন্মানোর পর থেকেই প্রতিমার উপর অত্যাচার শুরু করেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। গতকাল রাতে শ্বশুরবাড়ির শোয়ার ঘর থেকে প্রতিমার দেহ উদ্ধার হয়। প্রতিমার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, মনোজের সঙ্গে প্রতিমার সম্পর্ক খুব ভালো ছিল। মনোজ প্রতিমার ওপর কোনও অত্যাচার করেনি।ঘটনা ঘটার কয়েক ঘণ্টা আগেও প্রতিমা তাঁর মা অর্চনা কর্মকারকে ফোন করে, জানায়, সে পরেরদিন সকাল বেলা আসবে। তাঁর মেয়ে যে আত্মহত্যা করতে পারেন, সেকথা বিশ্বাসই করতে পারছেন না অর্চনাদেবী।
ইতিমধ্যে চাঁচল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবারের সদস্যরা। প্রতিমার মা অর্চনা কর্মকারের অভিযোগ, দুটি কন্যা সন্তান হওয়ার পর থেকেই শশুর, শাশুড়ি এবং দুই ননদ তাঁর মেয়ের উপর অত্যাচার করত। গ্রামের সালিশি সভা বসিয়ে অত্যাচারের মাত্রা একটুও কমেনি। ওরাই তাঁর মেয়েকে খুন করেছে। পুলিশ দেহটিকে উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেও বোঝা যাবে আদৌ প্রতিমাকে খুন করা হয়েছে কিনা। তবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগে আঙুল উঠেছে, সেই শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদ প্রত্যেকেই ফেরার। তাঁদের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।