দমদমের প্রমোদনগর এলাকা থেকে উদ্ধার হল এক তরুণের রক্তাক্ত দেহ। তা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃতের নাম গণেশ সমাদ্দার। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে এক বন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। তারপর আর ফেরেননি। ঘটনায় খুনের অভিযোগ তুলেছে পরিবার।
আরও পড়ুন: মালদায় কংগ্রেস নেতাকে গাড়ি দিয়ে পিষে খুন, আহত আরও ২, অভিযুক্ত দলেরই কর্মী
জানা গিয়েছে, গণেশের সঙ্গে বুধবার পর্যন্ত ফোনে যোগাযোগ হয়েছিল তাঁর বোনের। কিন্তু তার পর থেকে ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং রাত পেরোতেই বাড়িতে শুরু হয় উদ্বেগ ও খোঁজাখুঁজি। বৃহস্পতিবার সকালে প্রমোদনগরের ডাম্পিং গ্রাউন্ডে স্থানীয়দের নজরে আসে ময়লার স্তূপের ভেতর থেকে বেরিয়ে থাকা একটি মানবদেহের অংশ। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় থানায়। পুলিশ এসে ময়লার স্তূপ সরাতেই প্রকাশ্যে আসে নৃশংসভাবে বিকৃত গণেশের দেহ। মাথা ও মুখে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন, চোয়াল থেকে চামড়া ছিঁড়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে প্রাথমিক অনুমান, তাঁকে ভারী কোনও বস্তু দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে এবং পরে দেহ ফেলে রাখা হয়েছে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে।
পরিবারের সদস্যরা দেহ শনাক্ত করেন এবং জানান, কারও সঙ্গে তাঁর কোনও বিরোধ নিয়ে তাঁরা অবগত ছিলেন না। গণেশের বোন বলেন, তাঁকে বলেছিল, বন্ধুর জন্মদিনে যাচ্ছে। এরপর হঠাৎ খবর এল, ভাইয়ের দেহ ময়লার মধ্যে পড়ে আছে। কী হয়েছে কিছুই বুঝতে পারছেন না। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, চুল উঠে গিয়েছিল, মুখের একপাশ লাল হয়ে ছিল। দেখে মনে হচ্ছিল, প্রচণ্ড মারধর করা হয়েছে। ঘটনায় বরানগর ও দমদম থানার পুলিশ যৌথভাবে তদন্ত শুরু করেছে। কারা শেষবারের মতো গণেশের সঙ্গে ছিল, বন্ধুর জন্মদিনের সেই পার্টি কোথায় হয়েছিল তার উত্তর খোঁজা শুরু করেছে পুলিশ। উদ্ধার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে সম্ভাব্য সন্দেহভাজনদের খুঁজে বার করার চেষ্টা করছে।