ফের মহিলাকে গলা কেটে খুনের অভিযোগ উঠল। পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার ভবানীপুর থানা এলাকায় গতকাল রাতে অজ্ঞাত পরিচয় এক মহিলার গলার নলি কাটা দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। মহিলার পরিচয় জানার চেষ্টা করছে ভবানীপুর থানার পুলিশ। ঘটনার খবর পেয়েই হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে ভবানীপুর থানার বাঁশখানা জালপাই গ্রামের রাস্তায় গলার নলি কাটা অবস্থায় ওই মহিলার রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তারাই গিয়ে পুলিশে খবর দেন। খবর পাওয়ার পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। তবে মহিলার পরিচয় এখনও জানা যায়নি। পুলিশের অনুমান, মহিলার বয়স ৪০ থেকে ৫০ এর মধ্যে। মহিলাকে ওই গ্রামে আগে কোনওদিন দেখা যায়নি বলেই দাবি করেছেন গ্রামবাসীরা। তাদের দাবি, ওই মহিলা অন্য কোনও গ্রামের বাসিন্দা। এখন ওই মহিলা আশেপাশের গ্রামের বাসিন্দা নাকি অন্য কোথাকার তা খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ওই মহিলার ছবি আশেপাশে থানাগুলোতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে মহিলাকে শনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। কেন ওই মহিলাকে সেখানে নিয়ে গিয়ে খুন করা হল? শুধু কি গলা কেটে খুন করার পাশাপাশি মহিলার ওপর শারীরিক নির্যাতন হয়েছে কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে পরেই তা জানা যাবে। খুনের নেপথ্যে কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। একই সঙ্গে খুনের ঘটনা কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। উল্লেখ্য সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় খুন এবং ধর্ষণের মতো বিভিন্ন ধরনের অপরাধের ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। এই ঘটনার কিছুদিন আগেই পূর্ব বর্ধমানে এক পরিচারিকাকে গলার নলি কেটে খুন করা হয়েছিল।