সরকারি আবাসন থেকে উদ্ধার হল বিডিওর মৃতদেহ। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার জেলায়। বিডিওর নাম গৌতম বর্মণ (৪৫)। তিনি কুমারগ্রামের বিডিও ছিলেন। আজ সোমবার সকালে আবাসনের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা ঘর থেকে তাঁর অচৈতন্য দেহ উদ্ধার করেন। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠিক জেলা সফরের আগেই বিডিওর দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
আরও পড়ুন: টিকু তালসানিয়ার হার্ট অ্যাটাক নয়, ব্রেন স্ট্রোক হয়েছে বলে জানাল পরিবার
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে হার্ট অ্যাটাকে মারা গিয়েছেন বিডিও। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তারপরেই তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, বিডিওর পরিবারে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী এবং সন্তান। তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে সরকারি আবাসনে থাকতেন বিডিও। ওই সরকারি আধিকারিকের শাশুড়িও সেখানে থাকতেন। তিনি কোচবিহারে দিনহাটার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, রবিবার রাত থেকে তিনি অসুস্থ বোধ করছিলেন। এরপর কিছু না খেয়েই তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে তার অচৈতন্য দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে কুমারগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মৃত্যুতে প্রশাসনিক মহল এবং তাঁর পরিবারে শোকের ছায়া নেমেছে।
এবিষয়ে জেলার পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবমশী জানান, বিডিও অসুস্থ ছিলেন। ঘুমের মধ্যে তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত হলে মৃত্যুর বিষয়টি স্পষ্ট হবে। সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান। পারিবারিক সূত্রের খবর, বিডিওর হাই ব্লাড সুগার ছিল। এই কারণে তিনি দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন। চিকিৎসার জন্য ৯ মাস আগে তিনি চেন্নাই গিয়েছিলেন। রবিবার রাতে না খেয়েই তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। জানা যাচ্ছে, আগে তিনি দার্জিলিংয়ের কার্শিয়াংয়ের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। কুমারগ্রামের বিডিও হিসেবে দায়িত্ব নেন ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর থেকে।
উল্লেখ্য, বছর খানেক আগে একইভাবে এক বিডিওর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেটি ঘটেছিল কালিয়াগঞ্জে। ঘরে ঢুকে কর্মীরা বিডিওর নিথর দেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে। আর এবার আলিপুরদুয়ারের কুরগ্রামে উদ্ধার হল বিডিওর দেহ।