বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > রানীগঞ্জে পরিত্যক্ত খাদান থেকে উদ্ধার জামাই-শ্বশুরের দেহ, খুনের অভিযোগ পরিবারের

রানীগঞ্জে পরিত্যক্ত খাদান থেকে উদ্ধার জামাই-শ্বশুরের দেহ, খুনের অভিযোগ পরিবারের

মৃতদের পরিবার। নিজস্ব ছবি।

শ্বশুর এবং জামাই দুজনেই আলাদা আলাদা সময়ে বাড়ি বেরিয়েছিলেন। কিন্তু, তারপরও তাদের মৃতদেহ একই জায়গা কেন পাওয়া গেল তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

আসানসোলের রানীগঞ্জের জামাই এবং শ্বশুরের মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গত দু'দিন ধরে তারা নিখোঁজ ছিলেন। আজ সকালে একটি পরিত্যক্ত খাদানের কাছ থেকে পচাগলা গন্ধ পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে রানীগঞ্জ থানার পুলিশ চলবলপুর এলাকার সোলার প্লান্ট প্রকল্পের পাশে ওই পরিত্যক্ত খাদান থেকে দুটি দেহ উদ্ধার করে। মৃত দুজনের নাম যথাক্রমে বিপিন ভূঁইয়া (শ্বশুর) এবং রাকেশ কুমার (জামাই)। এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ এনেছে তাদের পরিবার।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, তারা রানীগঞ্জের জেমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দুই নম্বর বালি ব্যাঙ্কার এলাকার বাসিন্দা। গত পরশুদিন থেকে তারা নিখোঁজ ছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পরেও তাদের খুঁজে না পাওয়ায় অবশেষে স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে তাদের পরিবার। মৃত বিপিন ভূঁইয়ার স্ত্রী মিনা ভূঁইয়া জানান, তার স্বামী পেশায় দিনমজুর। কারও সঙ্গে তার শত্রুতা ছিল না। বাড়িতে কোনও ঝামেলা হয়নি। এখন তিনি কিছুতেই বুঝতে পারছেন না কে বা কারা তাকে খুন করল? পরিবারের সদস্যদের দাবি, শশুর এবং জামাই দুজনেই আলাদা আলাদা সময়ে বাড়ি বেরিয়েছিলেন। কিন্তু, তারপরও তাদের মৃতদেহ একই জায়গা কেন পাওয়া গেল তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ফলে এটি যে খুনের ঘটনা তা নিয়ে এক প্রকারের নিশ্চিত পরিবারের সদস্যরা।

মৃত রাকেশ কুমারের স্ত্রী মীরা বেবি জানান, চলতি মাসের প্রথম দিকে তিনি স্বামীর সঙ্গে বাপের বাড়ি এসেছিলেন। গতকাল তাদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, পরশু সন্ধ্যাবেলায় বাড়ি থেকে বেরোনোর পর আর তিনি স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। পরশু দিন মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। তবে কাল এবং আজ সকালে মোবাইল ফোন চালু ররেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। গোটা ঘটনায় তদন্ত করছে পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

বন্ধ করুন