বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে চায়ের দোকানদারের গলাকাটা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর থানার সোনামতি এলাকায়। মৃত ব্যক্তির নাম বিশ্বনাথ সিংহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ইসলামপুর থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন আধিকারিকরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বনাথ সিংহের সোনামতি বাজার এলাকায় একটি চায়ের দোকান রয়েছে। বুধবার রাতে চায়ের দোকান বন্ধ করে বাড়িতে আসেন তিনি। খাওয়া দাওয়া করার পর আবারও বাইরে বেরিয়ে পরেন বিশ্বনাথবাবু। এরপর আর সারারাত বাড়ি ফেরেননি তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা বিশ্বনাথ সিংহের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পথের ধারে গলাকাটা মৃতদেহ দেখতে পান। এই খবর চাউর হতেই আশপাশের বহু মানুষ ভিড় করেন। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে ইসলামপুর থানার পুলিশ। আসেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য জয়মঙ্গল গণেশ।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য জয়মঙ্গল গণেশ জানিয়েছেন, কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা পুলিশি তদন্তেই জানা যাবে। কে কারা বিশ্বনাথ সিংহকে খুন করল তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তদন্তে নেমে সোনামতি বাজার এলাকায় মৃত বিশ্বনাথ সিংহের চায়ের দোকানের আশপাশের দোকান সহ স্থানীয় মানুষজনদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। বিশ্বনাথ বাবুর মতো একজন সামান্য চায়ের দোকানদারের এমন নৃশংস খুনের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।