বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > CBI Chargesheet: অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে মৃত ব্যক্তিকে সাক্ষী করল সিবিআই, চার্জশিট নিয়ে তোলপাড়

CBI Chargesheet: অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে মৃত ব্যক্তিকে সাক্ষী করল সিবিআই, চার্জশিট নিয়ে তোলপাড়

অনুব্রত মণ্ডল। (ছবি, সৌজন্যে এএনআই)

এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই তেড়েফুঁড়ে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ এটা কোনও মামুলি মামলা নয়, গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে সিবিআইয়ের এমন কাজ দেখে চোখ কপালে উঠেছে আইনজীবী মহলেও। এই ঘটনায় আক্রমণ শানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য—‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলার ক্ষেত্রে এমনটাই ঘটে! মৃত ব্যক্তিরাও জীবিত হয়ে ওঠেন!’

অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে গরুপাচার কাণ্ডেত চার্জশিটে শতাব্দী রায়কে সাক্ষী করেছে সিবিআই। তাতে অনেকেই চমকেছে। যদিও সাংসদ শতাব্দী রায় সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, তিনি আদালতে জবাব দিতে প্রস্তুত। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই প্রকাশ্যে এল চার্জশিটে সাক্ষীর তালিকায় মৃত ব্যক্তির নাম! সেটাও সিবিআইয়ের সৌজন্যে। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এবার এটা নিয়ে আদালতে বিপাকে পড়তে পারেন সিবিআইয়ের আইনজীবীরা।

ঠিক কী যুক্তি সিবিআইয়ের?‌ এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই তেড়েফুঁড়ে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ এটা কোনও মামুলি মামলা নয়, গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে সিবিআইয়ের এমন কাজ দেখে চোখ কপালে উঠেছে আইনজীবী মহলেও। এই ঘটনায় আক্রমণ শানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য—‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলার ক্ষেত্রে এমনটাই ঘটে! মৃত ব্যক্তিরাও জীবিত হয়ে ওঠেন!’ সিবিআইয়ের অবশ্য যুক্তি, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি জীবিত অবস্থায় সিবিআইকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও নথি সরবরাহ করেছিলেন। যা অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে তদন্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সে কথা তো উল্লেখ করা নেই চার্জশিটে। কেন নেই?‌ উঠছে প্রশ্ন।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ সম্প্রতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। সেখানে সাক্ষী হিসেবে মোট ৯৫ জনের নাম রয়েছে। সেই তালিকার ৫৮ নম্বরে রয়েছে মাধব কৈবর্ত্যের নাম। যিনি গত এপ্রিল মাসে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন। তাঁরবাড়ি বোলপুরেই। অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলেন এই মাধব। সায়গলের পরিবারের সঙ্গে দুর্গাপুর থেকে বোলপুরে ফেরার পথে তাঁদের গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। মাধব–সহ মৃত্যু হয় সায়গলের ছোট মেয়ের। আর সেই ঘটনার প্রায় সাত মাস পর চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। তাতে সাক্ষী হিসেবে মাধবের নাম রাখাকে তদন্তকারী অফিসারদের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ’ বলে মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ। এমনকী চার্জশিটে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, মাধব কৈবর্ত্যের বয়ান রেকর্ডই করা হয়নি। তা সত্বেও কী করে তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ মামলায় সাক্ষী করা হল?‌ প্রশ্ন উঠেছে।

ঠিক কী বলছেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী?‌ এদিন, অনুব্রতর আ‌‌ইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা বলেন, ‘এখনও আমি চার্জশিট হাতে পাইনি। সিবিআই যদি সত্যিই মৃত ব্যক্তির নাম সাক্ষী তালিকায় রাখে, তা আ‌ইনবিরুদ্ধ। কাদের সাক্ষী করা যেতে পারে, সেই বিষয়ের উপর আইনি ব্যাখ্যা রয়েছে। মৃত ব্যক্তি কীভাবে এজলাসে এসে সাক্ষী দেবে? যে তথ্য সে আদালতে হাজির হয়ে জানাতেই পারবে না, তার কী গুরুত্ব রয়েছে? বিচার বিভাগের একটা মর্যাদা রয়েছে। তাকে হাস্যকর জায়গায় নামানো অনুচিত।’ আর তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সহ–সভাপতি তথা আইনজীবী মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘উপরওয়ালাকে সন্তুষ্ট করতে সিবিআই অফিসাররা এতটাই মরিয়া যে, মৃত ব্যক্তিকেও কেষ্ট মণ্ডলের বিরুদ্ধে সাক্ষী করতে হচ্ছে। বিষয়টি অত্যন্ত হাস্যকর। মামলাটি একেবারেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

বন্ধ করুন