বগটুইয়ে গণ হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসল। তিনজন মহিলা এবং ২ জন শিশুসহ যে আট জনকে হত্যা করা হয়েছিল আগুনে পোড়ানোর আগে তাদের নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছিল। মৃতদের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এমন তথ্য সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রথমে তাদের বেধড়ক মারধর করা হয় এরপর জীবন্ত অবস্থাতেই তাদের পুড়িয়ে হত্যা করে দুষ্কৃতীরা। রামপুরহাট হাসপাতালেই মৃতদের ময়নাতদন্ত করেছে চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সূত্রে একথা জানা গিয়েছে বলে দাবি করেছে সংবাদসংস্থা পিটিআই।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পর এই ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত আনারুল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি পুলিশকে কড়া নির্দেশ দেন তিনি। তারপরেই আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়াও, মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি তাদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়া এবং একটি করে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে এই ঘটনায় জড়িতদের কোনওভাবে আড়াল না করে উপযুক্ত শাস্তি দেইয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত উপপ্রধান ভাদু শেখের খুনের ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই পুরিয়ে মারার ঘটনা ঘটে। তাতে ৮ জনের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছিল যে পারিবারিক বিবাদের কারণে ঘটনা। যদিও বিরোধীরা প্রথম থেকেই এই ঘটনাকে রাজনৈতিক হত্যা বলেই দাবি করে আসছেন। অন্যদিকে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী এবং বিজেপির পাঁচ সদস্যের কেন্দ্রীয় দলেরও বগটুই গ্রামে যাওয়ার কথা রয়েছে।