ভূপতিনগর বিস্ফোরণে ক্রমেই ঘনিয়ে আসছে রহস্য। প্রাথমিক ভাবে বোমা বিস্ফোরণের অনুমান করা হলেও এখনও পুলিশ এই নিয়ে কিছু স্পষ্ট করে বলেনি। এরই মাঝে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলে বিস্ফোরক দাবি করলেন মৃত রাজকুমার মান্নার স্ত্রী ও মেয়ে। উল্লেখ্য, তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার এই বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন। এই আবহে তাঁর মেয়ে দাবি করেন, তাঁর মা নাকি তাঁকে সকালে বলেন যে বাবাকে কে নাকি নিয়ে গিয়েছে। তিনি আর বেঁচে নেই।
প্রসঙ্গত, বিজেপির তরফে দাবি করা হচ্ছিল যে ভূপতিনগর কাণ্ডে মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। এরই মাঝে জানা যায়, বিস্ফোরণে মৃত তিনজনেরই ঝলসানো দেহ বাড়ি থেকে বহু দূর উদ্ধার হয়। যা নিয়ে রহস্য ঘনিয়েছে। রাজকুমারের স্ত্রী এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমার সবেমাত্র চোখটা লেগে এসেছিল। হঠাৎ বিস্ফোরণ হল। দেখি ঘর থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। আমার স্বামী রাজকুমার মান্না, আর দুই দেওর ছিল।’
এদিকে রাজকুমার মান্না সম্পর্কে স্থানীয়দের একাংশ সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করে, এলাকার মানুষজনকে পার্টি অফিসে গিয়ে পেটাত তৃণমূল নেতা। শুধু তাই নয়, আরও অভিযোগ, বিগত ১২ বছর ধরে গ্রামের ৫০ থেকে ৬০ বিঘা জমিতে কেউ চাষ করতে পারত না। আরও অভিযোগ, বোমা বন্দুক নিয়ে এলাকা দাপিয়ে বেড়াত তারা। শুভেন্দু অধিকারী এবং অন্যান্য বিজেপি নেতারা এই বিস্ফোরণের আসল কারণ উদঘাটন করতে এনআইএ তদন্তের দাবি জানান। বিজেপির অভিযোগ, রাজকুমার মান্নার বাড়িতে বোম বাঁধার কাজ চলছিল। সেই সময়ই এই বিস্ফোরণ ঘটে। উল্লেখ্য, শনিবার অভিষেকের যেখানে সভা করার কথা রয়েছে সেখান থেকে ভূপতিনগরের দূরত্ব মাত্র ৪০ কিলোমিটার।