কোন বেঞ্চে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ বা ডিয়ারনেস অ্যালোওয়েন্স) মামলার শুনানি হবে? তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। অবশেষে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি মিত্তলের বেঞ্চে সেই মামলা উঠবে। রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মামলার সিরিয়াল নম্বর হল ৬০। অর্থাৎ ৫৯টি মামলার পর শুক্রবার বিচারপতি রায় এবং বিচারপতি মিত্তলের বেঞ্চে সেই বকেয়া ডিএ মামলা উঠবে।
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আশা, শুক্রবারই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দায়ের করা ‘স্পেশাল লিভ পিটিশন’ (এসএলপি) খারিজ হয়ে যাবে। তাঁদের জয় হবে। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায় চ্যালেঞ্জ করে যে এসএলপি গত বছরের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তারপর থেকে একাধিকবার শীর্ষ আদালতে সেই মামলা উঠেছে। কিন্তু মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি। বিভিন্ন কারণে মামলার শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। তারপর গ্রীষ্মকালীন অবসরের আগে সুপ্রিম কোর্টে যখন মামলাটি উঠেছিল, তখন ১৪ জুলাই নয়া শুনানির ধার্য করা হয়েছে।
ডিএ মামলার টাইমলাইন
১) পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় বকেয় ডিএয়ের দাবিতে ২০১৬ সালে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালে (স্যাট) মামলা দায়ের করেছিল রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ। সেখানে জয় হয়েছিল রাজ্য সরকারের। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেছিল রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন। সেই থেকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জয়যাত্রা শুরু হয়।
২) সেরকমভাবেই স্যাট, হাইকোর্টে মামলা চলেছিল। ২০২২ সালের ২০ মে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল যে তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। তবে সেই পথে হাঁটেনি পশ্চিমবঙ্গ সরকার। একেবারে শেষলগ্নে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল। যা হাইকোর্টে খারিজ হয়ে গিয়েছিল। বহাল রাখা হয় ২০ মে'র রায়।
৩) তারইমধ্যে রাজ্যের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করে তিনটি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন। যে মামলার মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করে রাজ্য সরকার।