বিহারের সিওয়ানে বিয়েবাড়িতে নাচের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে তরুণীর মৃত্যুতে ৪ জনকে গ্রেফতার করল জগদ্দল থানার পুলিশ। গত ১ ডিসেম্বর সিওয়ানের এক হাসপাতালে মৃত্যু হয় শ্যামনগরের বাসিন্দা নন্দিতা দাস (১৮) নামে ওই তরুণীর মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, ক্যাটারিংয়ের কাজ করানোর নাম করে নিয়ে গিয়ে মেয়েকে চটুল নাচের আসরে অংশগ্রহণ করতে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। প্রতিবাদ করায় পিটিয়ে মারা হয়েছে তাঁকে।
গত ১ ডিসেম্বর সিওয়ানের হাসপাতালে মৃত্যু হয় শ্যামনগরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের নেতাজিনগরের বাসিন্দা নন্দিতার। পরিবারের অভিযোগ, খুশি মজুমদার নামে স্থানীয় এক মহিলা তাঁকে ক্যাটারিংয়ের নাম করে বিহারের সিওয়ানে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে তাঁকে বিয়েবাড়িতে চটুল নাচের আসরে অংশগ্রহণ করতে চাপ দেওয়া হয়। চাপের মুখে নতি স্বীকার করেননি নন্দিতা। তখন খুশি ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে মারধর করে। গুরুতর আহত নন্দিতাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১ ডিসেম্বর তার মৃত্যু হয়।
মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে ২ ডিসেম্বর সিওয়ানে পৌঁছন মৃতের বাবা। পরদিন মেয়ের দেহ বাড়ি নিয়ে আসেন তিনি। মৃতের বাবা সঞ্জয় দাস বলেন, ‘আমার মেয়েকে তিন চার জন মিলে খুব মেরেছে। ওর সারা গায়ে মারের দাগ ছিল।’ এর পর জগদ্দল থানায় খুশি মজুমদারসহ অন্যান্যদের নামে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
অভিযোগ পেয়েই তৎপর হয় জগদ্দল থানা। সিওয়ানে গিয়ে অভিযুক্ত খুশি মজুমদার, সুজিত ঘোষ, অমিত বিশ্বাস, বিশ্বজিৎ হালদারকে গ্রেফতার করে জগদ্দল থানার পুলিশ। সোমবার তাদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হয়। মঙ্গলবার তাদের বারাকপুর আদালতে পেশ করেছে পুলিশ। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে কী ভাবে নন্দিতার মৃত্যু হয়েছে তা জেরা করে জানতে চান তদন্তকারীরা।