ফের কোচবিহারের চ্যাংরাবান্ধায় ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তের কাছেই ভারত ভূখণ্ডের মধ্যে বিএসএফের গুলিতে মৃত্য়ু হয়েছে দুই বাংলাদেশির। স্থানীয় সূত্রে খবর, গরু পাচার রুখতে সীমান্ত এলাকায় আরও কড়া হয়েছে বিএসএফ। তবে সেই ফাঁক গলেও বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতীরা গরু পাচারের ছক কষছে বলে অভিযোগ। মূলত ওই এলাকায় খোলা সীমান্ত বা কাঁটাতারবিহীন সীমান্তকেই পাচারকারীরা করিডর হিসাবে ব্যবহার করে। ধরলা নদী ও জঙ্গল লাগোয়া এলাকা হওয়ার কারণে এখানে প্রায় ৪ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতার দেওয়া যায়নি। এদিকে সেই সুযোগটাই কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে পাচারকারীরা। অভিযোগ এমনটাই।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, গরু পাচারের জন্য কয়েকজন বাংলাদেশ থেকে ভারত ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছিল। এদিকে বিএসএফ তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে পালটা তারা বিএসএফকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। এরপরই বিএসএফ তার পালটা জবাব দেয়। গুলিতে দুই বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের নাম মহম্মদ ইউনুস, বাড়ি বাংলাদেশের পাটগ্রাম থানার ডাঙাপাড়ায়। অপর মৃত যুবকের নাম মহম্মদ সাগর। তার বাড়িও পাটগ্রামে। খোলা সীমান্ত এলাকা দিয়ে তারা সন্তর্পনে ভারতে ঢুকে পড়েছিল বলে অভিযোগ।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়েই জলপাইগুড়ি সেক্টরের ডিআইজি সঞ্জয় পন্থ, ১৪৮ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সেকেন্ড ইন কমান্ড মোহিত কোঠিয়াল সহ পুলিশ ও প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা এলাকায় হাজির হন। মাথাভাঙায় ময়নাতদন্ত করার পর দেহদুটি বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবির হাতে তুলে দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত এর আগেও এই খোলা সীমান্ত পথে পাচারের চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ।