আরতি ভট্টাচার্য। কোচবিহারের খাগড়াবাড়ির বাসিন্দা। বয়স প্রায় ৯৯ বছর। শুক্রবার যখন তাঁকে বের করা হয়েছিল কোচবিহারে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে তখনও তাঁর মুখে লেগে ছিল হালকা হাসি। হুইল চেয়ারে বসেই আলতো করে হাত নাড়ছিলেন তিনি। মুখে মাস্ক। তাঁর আড়ালেই যুদ্ধ জয়ের হাসি। করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। এরপর গত কয়েকদিন ধরে একেবারে যমে মানুষে টানাটানি। চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রম। শেষ পর্যন্ত করোনাকে হারিয়ে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি। উচ্ছসিত বাড়ির লোকজন। উচ্ছসিত চিকিৎসকরা।
পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত ২৯শে এপ্রিল আরতিকে করোনা পজিটিভ অবস্থায় ভর্তি করা হয় কোচবিহারের হাসপাতালে। এরপর ক্রমে অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। কোভিড নিউমোনিয়া ছিলই। তার সঙ্গেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। ভেন্টিলেশনও চালু হয়। তবে এরপর থেকেই ধীরে ধীরে চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন তিনি। ২২দিন ধরে লড়াই চলে। এরপর শুক্রবার হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু তারপরেও শেষরক্ষা হল না। জয়ের আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী হল না। হাসপাতাল থেকে ফেরার পথেই তাঁকে শহরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানে রাত ১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবারের দাবি চিকিৎসকরা যথেষ্ট করেছেন। তবে আর কয়েকদিন পর্যবেক্ষনে রাখতে পারতেন।
আরতি ভট্টাচার্যের আত্মীয়া আলতা ভট্টাচার্য বলেন, 'হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার সময়তেও তিনি পুরোপুরি সুস্থ ছিলেন না। তারপরেও কেন তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হল? সেখান থেকেই সোজা তাঁকে নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানে গভীর রাতে আরতি ভট্টাচার্যের মৃত্যু হয়। আমার স্বামীও তাঁকে দাহ করতে গিয়েছেন।'