আগের রাতেও ডিউটি সেরে যথারীতি নিজের কুঠুরিতে ঘুমোতে গিয়েছিল রানি। সকালে বনদফতরের ডগ স্কোয়াডের কর্মী বিপ্লব রাভা ডাকতে এসে দেখেন নিস্তেজ হয়ে পড়ে রয়েছে রানি। বার বার ডাকাডাকি করেও সাড়া মেলেনি রানির। এরপর খবর দেওয়া হয় উপরমহলে। বনদফতরের ধারনা , বিষাক্ত কালাচ সাপ কেড়ে নিয়েছে রানির প্রাণ। এরপরই কান্নায় ভেঙে পড়েন বনদফতরের কর্মীরা। বনদফতর সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই বন পাহারার কাজে নিযুক্ত ছিল রানি। সেই ২০১৬ সাল থেকে জার্মান শেফার্ড রানিকে যুক্ত করা হয়েছিল বন পাহারার কাজে। তখন সবে ৯ মাস বয়স তার। গোয়ালিয়র থেকে আনা হয়েছিল রানিকে।
এরপর একের পর এক প্রশিক্ষণের কোর্স শেষ করে রানি। ২০১৮ সালের পর থেকে রানির একের পর এক সাফল্য সামনে আসতে শুরু করে। একের পর এক গন্ডার শিকারি ধরা পড়েছিল রানির দক্ষতায়। বাইসন হত্যা করে তার মাংস নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল চোরাশিকারিরা। হাসিমারার কাছে একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতার হয়েছিল চোরাশিকারিরা। সেটাও রানির তৎপরতাতেই। চোরাশিকারিরা যমের মতো ভয় পেত রানিকে। সেই রানিই চলে গেল অকালে।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, যে কুঠুরিতে রানি থাকত সেখানকার কিছু তারজালি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেগুলি মেরামত কেন যথাযথ সময়ে হয়নি তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। যার চোখ নাককে ফাঁকি দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারত না চোরাশিকারিরা, তার প্রাণই কেড়ে নিল বিষাক্ত সাপ। গোটা ঘটনায় একেবারে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে বনদফতরের অন্দরে। কারোর গাফিলতিতে রানির মৃত্যু হয়েছে কি না সেটাও দেখা হচ্ছে।রানিকে ছাড়া কীভাবে বনরক্ষা করা হবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।