রবিবার সকাল সকালই চা বাগানে কাজ করতে এসেছিলেন চা শ্রমিক রবীন এক্কা। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থানার খবরদা এলাকার ওই চা বাগানে কাজে নেমে পড়েন তিনি। এরপর বেশ কিছুক্ষণ চা পাতা কেয়ারিং করেন। অন্যান্য দিনের মতোই কাজ করছিলেন। এরপর কিছুক্ষণ জিরিয়ে নিয়ে ফের চা পাতা কাটতে যান। আর যাওয়ার পথেই ভয়াবহ বিপর্যয়। আচমকাই একটা আর্ত চিৎকার শোনেন চা শ্রমিকরা। দ্রুত ছুটে যান তাঁরা। গিয়ে দেখেন কুয়োর মধ্যে পড়ে গিয়েছেন রবীন। তাঁকে কুয়ো থেকে তোলার চেষ্টা করেন অন্য়ান্য শ্রমিকরা। প্রথম দিকে তাঁকে তোলা যায়নি। পরে সকলের চেষ্টায় তাঁকে কুয়ো থেকে তোলা হয়। এদিক ততক্ষণে সব শেষ। ঘটনার জেরে চা বাগান এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশও চা বাগানে আসে। মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে চা শ্রমিকের এই মর্মান্তিক পরিণতিতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের লোকজন। এর সঙ্গেই চা বাগানে শ্রমিক সহ অন্যান্যদের সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। জেলা পরিষদের সদস্য় গোপাল ভৌমিক বলেন, সকালে বাগানে পাতা কাটার কাজে এসেছিলে ওই শ্রমিক। কিছু পাতা নিয়ে সে রাস্তাতেও রাখে। তারপর আবার পাতা আনার জন্য যখন আসছিল তখনই বাগানে পড়ে যায়। কয়েকজন কুয়োতে নেমে তাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পারেনি। শেষ পর্যন্ত বাঁশ দিয়ে আমরা জামাটা টেনে তুলি। কিন্তু ততক্ষণে তার মৃত্যু হয়েছে।