উত্তরবঙ্গে মানুষ ও হাতির সংঘাত নতুন কিছু নয়। ফসল খেতে মাঝেমধ্যে লোকালয় সংলগ্ন এলাকায় চলে আসে হাতির দল। এদিকে হাতি আটকাতে নানা ধরনের ব্যবস্থা চালু রয়েছে। তবে হাতি আটকাতে বিদ্যুতের তার দিয়ে জমি ঘিরে রাখা যে কী ভয়ঙ্কর হতে পারে তা আরও একবার সামনে এল ধূপগুড়িতে।স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার সকালে বানারহাট ব্লকের মোগলকাটা রাভা বনবস্তিতে একটি পূর্ণ বয়স্ক হাতির মৃতদেহ পাওয়া যায়। বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াড গিয়ে হাতিটির দেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিভাবে বনদফতরের ধারণা ফসল বাঁচানোর জন্য জমির চারপাশে সম্ভবত বিদ্যুৎ পরিবাহী তার ছিল। তাতে স্পর্শ করতেই মৃত্যু হয়েছে হাতিটির। এদিকে সকালে মৃত হাতির পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন স্থানীয় মহিলারা। হাতির সামনে উলুধ্বনি দেন মহিলারা।
এদিকে গত ১১ নভেম্বর ঝাড়গ্রামেও এভাবেই তড়িদাহত হয়ে একটি হাতির মৃত্যু হয়েছিল। ধানক্ষেত থেকে হাতিটির দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই হাতিটির মৃত্যকে ঘিরেও রহস্য দানা বেঁধেছিল। বনদফতরের দাবি, জলপাইগুড়ি বনবিভাগের মরাঘাটের জঙ্গল থেকে হাতিটি কোনওভাবে লোকালয়ের কাছে চলে এসেছিল। ফসলের লোভে এভাবেই মাঝেমধ্যে জমিতে চলে আসে হাতির দল। এদিকে তোতাপাড়া বিটের মোগলকাটার রাভা বনবস্তিতেও হাতিটি ঢুকে পড়েছিল।
এরপর সেটি ধানের জমিতেও ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে। কিন্তু জমির চারদিকে বিদ্যুৎ পরিবাহী তার দেওয়া ছিল। সেই তারেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়েছিল হাতিটি। সম্ভবত তার জেরেই মৃত্যু হয়েছে হাতিটির। এদিকে জলপাইগুড়ি বনবিভাগের রেঞ্জার শুভাশিস রায় জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের পরই গোটা বিষয়টি জানা যাবে। স্থানীয় বাসিন্দা সন্তু রাভা বলেন, আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম হাতিটি শুয়ে আছে। তারপর বুঝতে পারি হাতিটি মারা গিয়েছে।