ফের এক মেডিক্যাল পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু। কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে হস্টেলে ওই মেডিক্যাল পড়ুয়ার দেহ উদ্ধারকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়ে যায়। ওই চিকিৎসক পড়ুয়ার নাম কিষাণ কুমার। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এদিকে মেধাবী ওই ছাত্রের দেহ উদ্ধারকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে।
সূত্রের খবর, বুধবার রাত ১২টার পরে ওই চিকিৎসক পড়ুয়ার দেহ দেখতে পান অন্যান্যরা। এরপর মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালকে খবর দেওয়া হয়। খবর যায় থানায়। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে।
ওই পড়ুয়ার বাড়ি বিহারে। তবে তিনি পড়াশোনার জন্য কোচবিহারের ওই হস্টেলে থাকতেন। এদিকে দিন চারেক পরেই ওই মেডিক্যাল পড়ুয়া শংসাপত্র পেত। আর তার আগেই এই ঘটনা। ৪ বছর ধরে ডাক্তারি পড়ার পরে কেন এই চরম সিদ্ধান্ত সেটা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না তাঁর সহপাঠীরাও।
ওই ইন্টার্ন কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনা করতেন। আসলে তিনি বিহারের বারৌনি জেলার বাসিন্দা। হস্টেলের ৩০৪ নম্বর রুম থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গভীর রাতে হস্টেলের অন্য় আবাসিকরা তাঁর দেহ দেখতে পান। এরপরই মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে খবর দেওয়া হয়। তবে ঘর থেকে আপাতত কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। কিন্তু কেন এই মেধাবী পড়ুয়া এমন চরম সিদ্ধান্ত নিলেন তা নিয়ে রহস্য থেকেই গিয়েছে। মৃতের পরিজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। আপাতত গোটা ঘটনাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠছে।
মাত্র ২৬ বছর বয়সে এক প্রতিভার অপমৃত্যু। সম্পর্কের টানাপোড়েনে মৃত্যু কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।