উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ববিতা দত্তের অস্বাভাবিক মৃত্যু কার্যত একাধিক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এদিকে গোটা ঘটনায় বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে নতুন করে আন্দোলন দানা বাঁধতে শুরু করেছে। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের কর্মীরা ইতিমধ্য়েই এনিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। তাদের দাবি অবিলম্বে এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে।
এদিকে ওই অধ্য়াপকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এভাবে ওই কৃতী ছাত্রীর চলে যাওয়ার ঘটনা মানতে পারছেন না কেউই। ঘটনার পর থেকেই ওই অধ্যাপকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
অভিযোগ উঠেছে ওই ছাত্রীর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছেন ওই অধ্যাপক। কিন্তু বিয়ের কথা বলেই এসব করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু সম্প্রতি বিয়ের কথা বলতেই বেঁকে বসেন ওই অধ্য়াপক। এনিয়ে মাটিগাড়া থানায় ওই অধ্য়াপকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ছাত্রীর পরিবার।
এদিকে ববিতার ঘর থেকে একটি চিঠি উদ্ধার করা হয়েছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। সেখানে নাম রয়েছে ওই অধ্য়াপকের। পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে দিনের পর দিন তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে এবিভিপির দাবি, ওই ছাত্রী ববিতা দত্তকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এনিয়ে দফায় দফায় আন্দোলনে নেমেছেন তারা। টায়ার জ্বালিয়েও বিক্ষোভ দেখানো হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সমস্ত ক্ষেত্রে তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যন্ত কৃতী ছাত্রী ববিতা। জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ পেয়েছিলেন। সেট পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন। সোসিওলজির উপর গবেষণা করতেন। যে বাড়িতে তিনি থাকতেন সেখানেই তার ঝুলন্ত দেহ মিলেছিল। কেন তার এই মৃত্যু তা প্রথমে বোঝা যায়নি। তবে পড়ুয়াদের মধ্য়ে এনিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছিল। এমনকী ববিতার মৃত্যু তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতারাও অত্য়ন্ত দুঃখপ্রকাশ করেন। অনেকেই এনিয়ে সোশ্য়াল মিডিয়ায় লেখেন।
তবে সূত্রের খবর ঘটনার দিনও তাকে বোঝা যায়নি তিনি এতবড় ঘটনা ঘটাতে যাচ্ছেন। বাড়িওলা পরে জানতে পেরে সকলকে খবর দেন। তবে পরে জানা যায় এক অধ্য়াপকের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। দিনের পর দিন ধরে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করা হত। কিন্তু তিনি বিয়ে করতে না চাওয়ায় ববিতা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন।