ডুয়ার্সের নাগরাকাটায় গাঠিয়া নদীতে ভয়াবহ হড়পা। আর তাতেই ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে মা ও মেয়ের। মায়ের নাম ক্যামেলিয়া বিশ্বাস(৩৮) ও রজনীয়া বিশ্বাস (১৩)। তাঁরা গাঠিয়া চা বাগানের ফ্যাক্টরি পরিচালক রূপক বিশ্বাসের স্ত্রী ও মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে খবর গাঠিয়া নদী ডুয়ার্সে খ্যাপা নদী হিসাবেই পরিচিত। নদীর মতিগতি বোঝা খুব দুষ্কর। সম্ভবত ভুটান পাহাড়ে বৃষ্টিপাতের জেরে আচমকাই নদীর জল বেড়ে যায়। কিন্তু সেটা আগে থেকে বোঝা যায়নি। আচমকাই জলস্তর বেড়ে যায় নদীতে। পাথর টপকে আর ফিরতে পারেননি তাঁরা।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, কলকাতা ও শিলিগুড়ি থেকে তাঁদের কয়েকজন আত্মীয় এসেছিলেন চা বাগানে বেড়াতে। সকলকে নিয়ে চা বাগানের কাছে নদীর ধারে বেড়াতে গিয়েছিলেন তাঁরা। আর তখন আচমকাই নদীতে হড়পা। সব মিলিয়ে আরও ৬জন জলে ভেসে গিয়েছিলেন। তাঁরা কোনওভাবে রক্ষা পান। কিন্তু মা মেয়ে বাঁচতে পারেননি। স্থানীয় ভরতপুর চা বাগান থেকেও কয়েকজন তাঁদের বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। কিন্তু তার আগেই সব শেষ।
এরপরই বাসিন্দারা উদ্ধারকাজে নেমে পড়েন। পুলিশও এলাকায় আসে। এরপর গাঠিয়া সেতু ও ছাড়টন্ডু বস্তি এলাকায় নদীর ধার থেকে দুটি দেহ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গোটা ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। আরও কেউ ভেসে গিয়েছে কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।