জল জঙ্গলে ঘেরা সুন্দরবন। সময়ে সময়ে মৃত্যুর হাতছানি। এই মৃত্যুর ঝুঁকিকে সঙ্গী করেই রোজকার জীবনযাপন। জঙ্গলঘেরা খাঁড়িতে মাছ, কাঁকড়া ধরে মানুষের জীবিকা নির্বাহ। একটু অসতর্ক হলেই বাঘে টেনে নিয়ে যেতে পারে। বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, গত ১০ই জুলাই থেকে ১৬ই জুলাই পর্যন্ত সুন্দরবনে বাঘের হানায় মারা গিয়েছেন সাতজন। কিন্তু সরকারি খাতায় অনেক হিসাবই থাকে না। মূলত বিনা পাসেই গভীর জঙ্গলে চলে যান অনেকেই শুধু পেটের টানে। গত ১ বছরে অন্তত ৫০-৬০ জন মারা গিয়েছেন বাঘের হানায়। কার্যত বিনা অনুমতিতে অবৈধভাবেই জঙ্গলে গিয়েছেন তারা। এরপর বাঘের হানায় আর ফেরা হয়নি বাড়িতে।
এদিকে বাসিন্দাদের দাবি, জঙ্গলে গিয়ে বাঘের হানায় পরিবারের কেউ মারা যাওয়ার পরই বনদফতরের লোকজন বাড়িতে আসেন। একটি মৃত্যুর বিনিময়ে দুটি করে ছাগল দেওয়া হয়। পরবর্তী ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যরা যাতে ছাগল প্রতিপালন করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন সেকারণেই এই বিশেষ বন্দোবস্ত। কিন্তু ছোট মোল্লাখালি, সাতজেলিয়া আমলামেথি সহ সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা নানা সমস্যায় জর্জরিত। তাদের দাবি এভাবে ছাগল চড়িয়ে পেট ভরে না। দুবেলা দুমুঠো খাবারও জোগাড় করা যায় না। বাধ্য হয়েই মানুষ জঙ্গলে যান। আর তার পরিণতিতেই অনেকে বাঘের পেটে যান। বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করলে সমস্য়া মিটবে না। যদি ভেসেলের ব্যবস্থা থাকত তবে তাতে করেই মাঠের সবজি বাজারে নিয়ে যাওয়া যেত। এতে আয়ের সুযোগও বাড়ত। দাবি বাসিন্দাদের। তবে বনদফতরের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।