আরও এক করোনাভাইরাস যোদ্ধাকে হারাল বাংলা। মৃত্যু হল চন্দননগরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এবং ডেপুটি কালেক্টর দেবদত্তা রায়ের (৩৮)। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। তাঁর চার বছরের ছেলে আছে।
সূত্রের খবর, দিনকয়েক ধরে জ্বরে ভুগছিলেন দেবদত্তা। রবিবার তাঁকে শ্রীরামপুরের একটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। সোমবার সকাল ন'টা নাগাদ সেখানেই মারা যান তিনি।
তাঁর মৃত্যুতে প্রশাসনিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দেবদত্তার সঙ্গে যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁরা তরুণী আধিকারিকের নেতৃত্ব প্রদান এবং কর্মদক্ষতায় বরাবর মুগ্ধ হয়েছেন। বাড়ি ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের যাবতীয় বিষয়ের তত্ত্বাবধান করছিলেন বলে জানিয়েছেন অনেকে। রাজ্যের প্রশাসমিক মহলের এক আধিকারিক ফেসবুক পোস্টে জানান, কয়েকদিন আগেই জেলার গ্রুপে দেবদত্তার মেসেজ দেখছিলেন। একেবারে হালকা মেজাজে কথা বলছিলেন।
দেবদত্তার অধীনে কাজ করা এক আধিকারিক বলেন, ‘ভাবতেই পারছি না উনি আমাদের মধ্যে নেই। অত্যন্ত দক্ষ আধিকারিক ছিলেন। করোনা পরিস্থিতিতে যাবতীয় কাজ অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে করেছেন। বিশ্বাস করতে পারছি না, ওঁনার সঙ্গে আর কাজ করতে পারব না।’
তরুণী আধিকারিকের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুটি টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ‘চন্দননগরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর পদে কর্মরত দেবদত্তা রায়ের অকালমৃত্যুর খবরে শোকাহত। একজন তরুণী ডব্লিউবিসিএস (এগজিকিউটিভ) অফিসার, মহামারীর বিরুদ্ধে সামনে থেকে লড়ছিলেন তিনি এবং অসামান্য নিষ্ঠার সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।’ মুখ্যমন্ত্রী জানান, দেবদত্তার স্বামীর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।