আবার একটা উইকেট পতন। তাও আবার মিডল অর্ডারে। সরাসরি দলের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছিলেন। আর শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে মুখ খুলেছিলেন ডানকুনি পুরসভার বিদায়ী ভাইস–চেয়ারম্যান তথা পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস মুখোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তিনি পুরসভা এবং দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করলেন।
এবার তৃণমূলের অস্বস্তি আরও বেড়েছে ওই পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী দলীয় কাউন্সিলর মীরা কুমারী পাসোয়ানও দল ছাড়ায়।
কোনও ভাবেই রাজনীতির ময়দানে আর ঠেকানো যাচ্ছে না উইকেট পতন। যা ভাবিয়ে তুলেছে ঘাসফুল শিবিরকে। যার জন্যই জরুরি বৈঠক বসেছে তৃণমূলনেত্রীর বাড়িতে। কারণ উইকেট পতন অব্যাহত থাকলে সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে। এই আশঙ্কা এখন করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। কারণ পুরসভার কার্যনির্বাহী আধিকারিক অভ্রজ্যোতি পালের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন দেবাশিসবাবু।
বহু বিদায়ী কাউন্সিলর তাঁর সঙ্গে আছেন এবং তাঁরা পরে দল ছাড়বেন দাবি করেন দেবাশিসবাবু। তিনি বলেন, ‘দল আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিল, আমি তা পালন করেছি। আমার ওয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি কাজ হয়েছে। দলের কেউ কেউ মনে করছেন, আমরা চলে গেলে দল শক্তিশালী হবে। তাই তাঁদেরকে জায়গা ছেড়ে দিলাম দল শক্তিশালী করার জন্য।’
ফের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থাকেও বিঁধে তিনি জানান, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া তৃণমূলের কোনও অস্তিত্ব নেই বলেই বিশ্বাস করতাম। তাহলে প্রশান্ত কিশোর কীসের জন্য? তিনি রাজ্যের পরিবর্তন আনেননি। আমি কর্পোরেট সংস্থায় বিশ্বাস করি না।’
এদিকে ডানকুনির দুই নেতা দল ছাড়ায় ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব সন্ধ্যায় ডানকুনি স্টেশন সংলগ্ন ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক করেন। ডাকা হয়েছিল পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান এবং কয়েকজন বিদায়ী কাউন্সিলরকে। দেবাশিসবাবু–সহ চার বিদায়ী কাউন্সিলর ডাক পাননি। সুতরাং তাঁদের বাদ দিয়েই ভাবা শুরু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন দেখার, কোন বিকল্প পথ বেরিয়ে আসে।