মাটির দেওয়ালের ধ্বংসাবশেষের নীচ থেকে বৃদ্ধার পচন ধরা দেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে। পরিবারের দাবি, বৃষ্টিতে দেওয়াল ধসে মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধার। যদিও প্রতিবেশীরা বলছেন, তাহলে কেন এক মাস দেওয়াল চাপা পড়ে রইল বৃদ্ধার দেহ।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হন চণ্ডীপুরের হাঁসচরার বাসিন্দা ছায়া নায়েক (৮০)। পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। কিন্তু কোনও খোঁজ মেলেনি তাঁর। রবিবার বাড়ির পিছনে ভেঙে পড়া মাটির দেওয়ালের ধ্বংসাবশেষের নীচ থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৪ সেপ্টেম্বর এলাকায় প্রবল বর্ষণ হয়েছিল। তার জেরে ভেঙে পড়ে ছায়াদেবীর বাড়ির পিছনে থাকা পুরনো একটি মাটির ঘরের দেওয়াল। আর সেদিন থেকেই নিখোঁজ হন বৃদ্ধা। বৃদ্ধার ২ ছেলে ও ৩ মেয়ে রয়েছে। যদিও বিবাহ বা কর্মসূত্রে সবাই প্রবাসী। বৃদ্ধা থাকতেন তাঁর স্বামীর সঙ্গে। প্রায় ১ মাস বৃদ্ধা দেওয়াল চাপা পড়ে থাকলেও কেউ একবারও ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে দেখল না কেন?
রবিবার ধ্বংসস্তুপের নীচ থেকে উদ্ধার হয় ছায়া দেবীর পচন ধরা দেহাবশেষ। দেহাবশেষ ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে চণ্ডীপুর থানার পুলিশ।
বৃদ্ধার এক ছেলে যদিও জানিয়েছেন, মায়ের মৃত্যু দুর্ঘটনাতেই হয়েছে। বাড়ির পিছনে যে মায়ের দেহ চাপা পড়ে থাকতে পারে তা মাথায় আসেনি কারও। তাই সেখানে খোঁজ করেনি কেউ। পড়শিদের দাবি, বৃদ্ধার সঙ্গে তাঁর স্বামীর সম্পর্ক ভালো ছিল না। তাঁকে মাঝেমাঝেই মারধর করতেন স্বামী।