১৪ এপ্রিল থেকে ১৫ জুন ইলিশ মাছ ধরার ‘ব্যান পিরিয়ড’। এই সময় সমুদ্র থেকে ইলিশ ধরা যাবে না। বর্ষার আগে অবধি থাকবে এই 'ব্যান পিরিয়ড'। অথচ বাজারে দেদার মিলছে খোকা ইলিশ। ৩০০ থেকে ৪০০টাকা কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে। ইলিশের ওজন ৮০থেকে ১০০ গ্রাম। দিঘা উপকূলের পটাশপুর, এগারায় বাজারে পাওয়া যাচ্ছে এই ইলিশ। ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তবু কী করে আসছে বাজারে? প্রশাসনের নজরদারিতে কি গলদ রয়েছে? সেই প্রশ্ন প্রধান হয়ে উঠছে।
বাজারে খোকা ইলিশ বিক্রির খবর সামনে আসতেই নড়চড়ে মৎস দফতর (দফতর)। জেলা পুলিশকে চিঠি দিয়ে বাজারে নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ‘ব্যান পিরিয়ড’-এর মধ্যে বাজারের যাতে খোকা ইলিশ বা অন্য সামুদ্রিক মাছ বিক্রি না হয় সে দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। সহ-মৎস অধিকর্তা (সামুদ্রিক) জয়ন্ত কুমার প্রধান বলছেন,'এই সময় যাতে কোনও সামুদ্রিক মাছ বিক্রি ও ধরা না হয় তার জন্য নজরদারির চালানোর কথা জানিয়ে পুলিশ সুপারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।'
বাজারে এই খোকা ইলিশের উৎস নিয়ে এক মৎসজীবী জানিয়েছেন, লুকিয়ে মাছ শঙ্করপুর ও দিঘার পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়। পারাদ্বীপ থেকেও কিছু মাছ আমদানি করা হচ্ছে। এ ছাড়া মৎসজীবীদের কেউ কেউ ছোট নৌকা নিয়ে মাছ ধরছেন। তাঁদের জালে ছোট ইলিশ ধরা পড়ছে।
পূর্ব মেদিনীপুর মৎস্যজীবী ফোরামের সম্পাদক তমাল তরু দাস মহাপাত্র কথায়,'বেশ কয়েকটি জায়গায় আইন অমান্য করে ব্যান পিরিয়ডেও মাছ ধরা হচ্ছে। প্রশাসনের উচিত কঠোর পদক্ষেপ করা।'মৎসজীবীদের মতে, এই ভাবে খোকা ইলিশ ধরা হলে বর্ষাকালে মাছের যোগানে ঘাটতি দেখে দেবে। ফলে মরসুমে চাহিদার সময় মাছের দাম বাড়বে।