রাগের মাথায় বৌদির গলায় ছুরির কোপ বসিয়ে দিল দেগঙ্গার এক যুবক। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই গৃহবধূকে বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, শনিবার রাতে কান্নাকাটি করছিল গৃহবধূ শিখা দাসের ১০ মাসের শিশুকন্যা। শিশুকন্যা কান্নাকাটি করায় ঘুম ভেঙে যায় শিখার দেওর অমর দাসের। কাঁচা ঘুম ভেঙে যাওয়ায় বৌদির সঙ্গে রীতিমতো তর্কাতর্কি শুরু করে দেয় অমর। দু'জনের মধ্যে বাদানুবাদ চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। তখনই অমর ছুরি দিয়ে বৌদির গলায় কোপ বসিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এরপরই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় অমর। ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার সোহাই কুমারপুর পঞ্চায়েতের অনন্তপাড়া এলাকায়।
রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ির লোকেরাই শিখাদেবীকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে শিখার গলায় বেশ কয়েকটি সেলাই দিতে হয়েছে। পলাতক অমর দাসের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ লুকিয়ে আছে কিনা, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। এর আগে তামিলনাড়ুতে প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে প্রেমিকাকে ১৪ বার ছুরি দিয়ে আঘাত করার ঘটনা সামনে এসেছে।