পশ্চিমবঙ্গে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট রাজনীতি সচেতন। বুধবার তৃণমূলকে কটাক্ষ করে এই ভাষাতেই আক্রমণ শানালেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। করোনা পরিস্থিতিতে মহামারী আইনের সুয়োগ নিয়ে বিরোধীদের সরকার বিরোধী বিভিন্ন কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে এদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন বিজেপি নেতা।
এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘শিশুর বাবা যদি ট্রেনে চড়েন, তাহলে তিনি সংক্রমিত করতে পারেন। কিন্তু শিশুর মা এক হাজার জন লোকের সঙ্গে লাইনে দাঁড়ালে সংক্রমিত হবেন না, এটা মানুষ বিচার করবেন। খেলা হবে বলে একসঙ্গে একাধিক লোক মাঠে নেমে পড়লে সংক্রমিত হবেন না, এটা মানুষ বিচার করবেন।’ একশো দিনের কাজে পশ্চিমবঙ্গ এক রয়েছে, রাজ্য সরকারের এই বিবৃতিকেও কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতা। তাঁর মতে, একশো দিনের কাজে পশ্চিমবঙ্গ এক নম্বরে, তা থেকেই প্রমাণ করে পশ্চিমবঙ্গের আর্থ-সামজিক অবস্থা কোন অবস্থায় আছে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়েও তৃণমূলকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি শমীকবাবু। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, মালদহে ন'জন মহিলা পদপিষ্ট হয়েছেন। মানুষ শুধুমাত্র আর্থিক অনুদান গ্রহণের জন্য যেভাবে দলে দলে ভিড় করছেন, সেখানে আর্থিক পরিকাঠামো কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে বা গ্রামীণ জীবন কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, তা সহজেই বোঝা যায়।
এদিন বিজেপির তরফে শহিদ সম্মান যাত্রায় 'বাধা' দান প্রসঙ্গেও আক্রমণ করা হয়। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য জানান, পুলিশের আগাম অনুমতি নেওয়া সত্ত্বেও কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিককে আটক করা হয়েছে। দলীয় কর্মচারীরা মঞ্চ করলে পুলিশ মঞ্চ ভাঙছে। কোনওভাবেই বিরোধীদের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করতে দেওয়া হচ্ছে না। এই প্রেক্ষাপটে করোনা আবহে প্রতীকী কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ডাক দিলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য।