বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > কোচ রাজাদের ইতিহাস সিলেবাসে অন্তর্ভুক্তির দাবি, বিজেপি তৃণমূল তরজা চরমে

কোচ রাজাদের ইতিহাস সিলেবাসে অন্তর্ভুক্তির দাবি, বিজেপি তৃণমূল তরজা চরমে

মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণের মুর্তি কোচবিহারে  (ফেসবুক থেকে সংগৃহীত )

সাধারণ বাসিন্দাদের একটাই দাবি কোচবিহারের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা রাজ ঐতিহ্যকে, হেরিটেজ বিল্ডিংগুলিকে বাঁচিয়ে রাখা হোক।

সেই রাজাও নেই। রাজ্যপাটও নেই। তবু আজও কোচবিহার রাজার শহর বলেই পরিচিত। আসলে রাজ আমলের নানা ঐতিহ্যের সাক্ষী এই শহর। রাজ আমলে মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণের উদ্যোগে এই শহরে নানা স্থাপত্য় গড়ে ওঠেছিল। কোচবিহার রাজবাড়ি থেকে মদনমোহন মন্দির সবের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণের নাম। আধুনিক কোচবিহারের রূপকার মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণ। আর তাঁর ১১০তম মৃত্যু বার্ষিকীতেই এবার কোচ রাজাদের ইতিহাসকে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি উঠেছে। এই দাবিকে ঘিরেই তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে তরজা কার্যত চরমে উঠেছে। 

কোচবিহার শহরের প্রাণকেন্দ্র সাগরদিঘি চত্বরেই রয়েছে মহারাজার মূর্তি। বিভিন্ন সংগঠনের তরফে সেই মূর্তিতে মাল্যদান করা হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও মহারাজার মূর্তিতে মাল্যদান করেন। তৃণমূল ও বিজেপি অবশ্য পৃথকভাবে মহারাজাকে সম্মান জানিয়েছে। বিজেপির দাবি বাম ও তৃণমূল জমানায় কোচ রাজবংশের ইতিহাসকে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিকে মান্যতা দেওয়া হয়নি। কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক বিজেপির নিখিলরঞ্জন দে বলেন, 'কোচবিহারের ইতিহাস কোনও পাঠ্যবইতে নেই। বাম বা তৃণমূল কোনও জমানাতেই এই রাজ ইতিহাসকে পাঠ্যবইতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আমরা বিষয়টি বিধানসভায় তুলব।'

অন্যদিকে এনিয়ে বিজেপিকে পালটা কটাক্ষ করেছেন কোচবিহারের প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ পার্থপ্রতীম রায়। তিনি বলেন, ‘বিজেপি কিছুই জানে না। পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোচবিহারের ইতিহাস পড়ানো হয়। বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। সমস্ত ঐতিহ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার।’ তবে সাধারণ বাসিন্দাদের একটাই দাবি কোচবিহারের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা রাজ ঐতিহ্যকে, হেরিটেজ বিল্ডিংগুলিকে বাঁচিয়ে রাখা হোক। আগামী প্রজন্ম যেন আঞ্চলিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারে তার ব্যবস্থা করা জরুরী। 

 

বন্ধ করুন