না ফেরার দেশে চলে গেলেন জলপাইগুড়ির কৃষ্ণ কুমার কল্যাণী। তিনি ছিলেন উত্তরের বিশিষ্ট চা শিল্পপতি। তবে উত্তরবঙ্গের রাজনীতির আঙিনায় তাঁর আরও একটি পরিচয় ছিল। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কংগ্রেস ও পরবর্তী সময়ে তৃণমূলকে একেবারে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিশেষত ডুয়ার্সের চা বলয়ে তিনি ছিলেন অত্যন্ত পরিচিত নাম। জলপাইগুড়ি শহর ও সংলগ্ন এলাকায় দক্ষতার সঙ্গে সংগঠন বিস্তারের কাজ করতেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। কোভিডের ভয়াবহ দাপটের সময়ই তিনি সাময়িক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। মঙ্গলবার শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে তাঁকে জলপাইগুড়ির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছিল। এদিকে মঙ্গলবার রাতে তাঁর অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকে। তাঁকে মুম্বই নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে চলে গেলেন তিনি।
একসময় ছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ভাবশিষ্য। পরবর্তী সময়ে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি ছিলেন। তিনবার দলের জেলা সভাপতি হয়েছিলেন। সম্প্রতি তাঁকে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসানো হয়েছিল। রাজনীতিতে অত্যন্ত ঠান্ডা মাথার মানুষ হিসাবেই পরিচিত ছিলেন তিনি। কিষাণ কল্যাণী বলেই পরিচিত ছিলেন উত্তরবঙ্গে। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া তৃণমূলের অন্দরে।
তাঁর প্রয়াণে শোকবার্তা জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, উত্তরবঙ্গের চা শিল্পপতি কৃষ্ণ কুমার কল্যাণীর অকাল প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করছি। ডুয়ার্সের মা মাটি মানুষের অগ্রণী মুখ হিসাবে আমি তাঁকে অত্যন্ত ভালোভাবে চিনতাম। তাঁর শোকগ্রস্ত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।