করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে ডেঙ্গু। হাওড়ায় ডেঙ্গু প্রতিদিনই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। প্রতিদিন হাওড়ায় নতুন করে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। তা নিয়ে এখন যথেষ্ট উদ্বিগ্ন হাওড়া পুরনিগম কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পুরনিগমেরপ কর্তৃপক্ষের কপালে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত সংখ্যা দ্বিগুণ ছাড়িয়েছে।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনা না গেলে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সেই সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এই অবস্থায় সেখানে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য আগামিকাল কেন্দ্রীয় সরকারের একটি প্রতিনিধিদল এলাকা পরিদর্শন করবেন বলে জানা গেছে।
ইতিমধ্যেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে তৎপর হয়েছে হাওড়া পুরসভা। এর জন্য একটি বেসরকারি সংস্থাকে কাজে লাগানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী । এর পাশাপাশি ডেঙ্গির লার্ভা চিহ্নিত করে সেগুলোকে ধ্বংস করার কাজও চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, নভেম্বরের শুরুতে হাওড়ায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ২৪৩ জন। বর্তমানে সেই সংখ্যাটা ৪৯৭-এ পৌঁছেছে। আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে স্থানীয় সরকারি হাসপাতাল এবং বেসরকারি হাসপাতালে।
পুরসভার আধিকারিকদের দাবি, এখনও একাধিক এলাকায় জল জমে রয়েছে। যার ফলে ডেঙ্গূর লাভার জন্ম নিচ্ছে। আরও দুই সপ্তাহ এরকম চলবে বলে মনে করছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই মণ্ডল । তিনি বলেন , 'যে সমস্ত এলাকায় জল জমে আছে, তা সরিয়ে ফেলার জন্য সাফাই কর্মীদের আরও সক্রিয় হতে হবে।' ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের জন্য জমা জল ঠিকমতো সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে কিনা বা লার্ভাসাইট তেল দিয়ে ডেঙ্গু লাভার বিনাশ করা হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে । পাশাপশি, বিভিন্ন দফতর সমন্বয় রেখে কাজ করছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে হাওড়া পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপারসন জানিয়েছেন।