জলপাইগুড়িতে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। গত দু-সপ্তাহের মধ্যে জলপাইগুড়িতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৯১ জন। শুধু জলপাইগুড়ি নয় উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসন। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে বৈঠক করেছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যসচিবকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
জলপাইগুড়ি জেলার বাগরাগোট চা বাগানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪ জন। এলাকায় ডেঙ্গু ছড়ানোর মূল কারণ হিসেবে সেখানে অবস্থিত বহু বছরের পুরনো একটি পরিত্যক্ত জলের ট্যাঙ্ককেই দায়ী করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্বাস্থ্য আধিকারিকরা এলাকা ঘুরে দেখে ওই ট্যাঙ্কে ডেঙ্গুর লার্ভা খুঁজে পেয়েছেন। এখানকার জমা জল থেকে ডেঙ্গু মশা ছড়াচ্ছে বলে জানতে পারেন আধিকারিকরা। এর পরেই ওই ট্যাঙ্ক ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অবশেষে ওই ট্যাঙ্ক ভেঙে ফেলা হল। স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকরা এলাকা পরিদর্শন করে জানান, ‘আমরা এলাকা ঘুরে দেখে তথ্য সংগ্রহ করেছি।’ জেলা পরিষদ সূত্রের খবর, বাগরাগোটের পরিস্থিতি কথা মাথায় রেখে সেখানে একজন মেডিক্যাল অফিসার রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জলপাইগুড়ির সহকারি মুখ্য আধিকারিক মৃদুল ঘোষ জমা জল নিয়ে মানুষকে সতর্ক করেন।
জলপাইগুড়ি ছাড়াও আলিপুরদুয়ারে ১০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়াও কোচবিহারে ১০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। উল্লেখ্য, ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘ডেঙ্গুটা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। দু-বছর কোভিডের কারণে ডেঙ্গুটা লুকিয়ে ছিল। উত্তরবঙ্গে ডেঙ্গুটা একটু একটু বাড়ছে।’ মুখ্যসচিবকে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।