ডানাছাঁটার স্রোতে পড়ে গেলেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেস থাকাকালীন শুভেন্দু অধিকারীর অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দেননি। পূর্ব মেদিনীপুরের ভাঙা–গড়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেও তৃণমূলের কর্মসূচি হাজির থাকা নেতা রবীন্দ্রনাথ সেনকে পুর প্রশাসকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর তা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন।
তমলুক পুরসভার প্রশাসক পদে রদবদল হয়েছে সোমবার। পুরপ্রশাসক রবীন্দ্রনাথকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিদায়ী পুরসভার উপ-পুরপ্রধান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায়কে। তাঁর কথায়, ‘আমাকে কোনও কিছু না জানিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোচরে নেই। জানলে এমন সিদ্ধান্ত নিতেন না।’
শুভেন্দু-বিরোধী শিবিরের নেতা বলে পরিচিত রবীন্দ্রনাথ সেন দীর্ঘ ৪১ বছর ধরে তমলুক পুরসভার কাউন্সিলর এবং ১৮ বছর ধরে পুরপ্রধানের পদ সামলেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রথমে কংগ্রেস ও পরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি হিসেবে ৪১ বছর কাউন্সিলর এবং ১৮ বছর পুরপ্রধান হিসাবে যুক্ত ছিলাম। নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গেই কাজ করেছিলাম। এই বয়সে এমন সিদ্ধান্ত শুনে আমি মর্মাহত।’
সূত্রের খবর, পুরপ্রধান হিসাবে থাকাকালীন পুরসভার কাজের বিষয়ে পিকের (প্রশান্ত কিশোর) টিমের কাছে রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে শহর তৃণমূল নেতৃত্ব নালিশ করেছিলেন। প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন পদে রবীন্দ্রনাথ নিযুক্ত করার পরে তৃণমূলের একাংশ তাঁর বিরোধিতা শুরু করেছিলেন। ফলে শহর তৃণমূলের সংগঠনে বিভাজন ঘটে বলে অভিযোগ।
আগামী ১৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা। সেই সভা যাবেন কিনা জানতে চাওয়া হলে রবীন্দ্রনাথ বলেন, ‘আমি তো তৃণমূল কংগ্রেসেই রয়েছি। ডাকলে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় যাব।’ এতো অনুগত হওয়ার পরও কেন ডানাছাঁটা হল? সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও খুঁজে পাচ্ছেন না বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ।
ীতিবিদ।