শিল্প থেকে কর্মসংস্থান—এই নিয়ে সবসময় উদ্যোগী হতে দেখা গিয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিশ্ব–বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন থেকে শুরু করে শিল্পপতি–উদ্যোগপতিদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখেছেন তিনি। এবার বাংলায় দেউচা পাচামি প্রকল্প নিয়ে তিনি উদ্যোগী হয়েছেন৷ এই খনি প্রকল্পের বিষয়ে রাজ্যের অবস্থান বিধানসভায় স্পষ্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন প্রশ্ন উঠছে, বীরভূমের কোল ব্লকে কীভাবে জমি নেওয়া হবে? ক্ষতিপূরণ কেমন মিলবে? চাকরি মিলবে কতজনের?
দেউচা পাচামির ভৌগোলিক অবস্থান কী? এই প্রকল্প এলাকা তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতকে নিয়ে গঠিত। হিংলো গ্রাম পঞ্চায়েত, ভাঁড়কাটা গ্রাম পঞ্চায়েত এবং দেউচা গ্রাম পঞ্চায়েত। এই হিংলো গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে আছে ২১টি গ্রাম। ভাঁড়কাটা গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩৪টি গ্রাম আর দেউচা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে আছে ২৮টি গ্রাম। আর এই সব গ্রামের মধ্যেই দেওয়ানগঞ্জ ও হরিণসিংহা এলাকা থেকে শুরু হবে কয়লা উত্তোলনের কাজ৷
এখানে পা রাখলে দেখা যাবে, একদিকে সোনালি ধান ভর্তি মাঠ৷ অন্যদিকে প্রতিনিয়ত ভাঙা চলছে পাথর। লরি করে সেই পাথর চলে যাচ্ছে রাজ্যের নানা প্রান্তে। এখানের গ্রামগুলি যেন কেউ রং–তুলি দিয়ে এঁকে দিয়েছে। এমন মনে হওয়ার কারণ গ্রামগুলি খুব পরিকল্পনামাফিক সাজানো। এই গ্রামগুলির বাসিন্দারাই জানতে চাইছেন কিভাবে গড়ে উঠবে প্রকল্প?
এখানে গ্রামবাসীদের বক্তব্য, এই প্রকল্পে যদি দেখা যায় চাষের জমি বলি দেওয়া হচ্ছে তাহলে তাঁদের আপত্তি থাকবে। আর যদি তা না হয় তাহলে রাজ্য সরকারের প্রতি থাকবে সহযোগিতা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেছেন, চাষের জমির ক্ষতি না করেই গড়ে উঠবে প্রকল্প। সিঙ্গুর–মম্দীগ্রাম কিন্তু তাঁর জীবনে টার্নিং পয়েন্ট হয়েছিল জমি বাঁচাও আন্দোলনের জন্যই। সেক্ষেত্রে এখানের বাসিন্দারা জমি বলি দিতে নারাজ। কিন্তু শিল্পের পক্ষে।