দেউচা পাঁচামি কয়লা খনি গড়ে উঠুক এখন চান গ্রামবাসীরা। কারণ রাজ্য সরকার ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রতি পরিবারপিছু একজন করে সদস্যকে সরকারি চাকরি দেবেন বলে ঘোষণা করেছেন। আর তার পর থেকেই বীরভূমের আবাদপুর অতিথি নিবাসে ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। দেউচা–পাঁচামিতে প্রস্তাবিত কয়লা খনি গড়ে তোলার নোডাল এজেন্সি রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের অফিস এই অতিথি নিবাসেই। সেখানে প্রত্যেকদিনই আবেদন জমা পড়ছে জমি দিতে ইচ্ছুক বাসিন্দাদের। বিনিময়ে দরকার চাকরি। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, জমিদাতাদের পরিবারের একজনকে যোগ্যতা অনুযায়ী জুনিয়র ও সিনিয়র কনস্টেবলের পদে চাকরি দেওয়া হবে। তার জন্য সরকার ৫১০০ পদ তৈরি করেছে।
এই সরকারি চাকরির জন্যই এখন ভিড় বেড়েছে। তরুণ–তরুণীরা এই চাকরি নিতে আবেদন করছেন। আর তাঁরা প্রত্যেকেই জমিদাতা। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই জমিদাতাদের নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার জন্য আবেদনকারীদের আবেদন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই বিষয়ে বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, ‘কখন নিয়োগপত্র দেওয়া হবে তা নিয়ে এখনই কিছু বলছি না। তবে সবটাই অত্যন্ত দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে এটুকু বলে রাখতে চাই।’
জমিদাতাদের বক্তব্য, এই চাকরি পেলে পরিবার সুরক্ষিত হবে। আর কয়লা খনি হলে রাজ্যে শিল্পের পরিবেশ তৈরি হবে। এমনকী এই গ্রামের উন্নয়ন আরও হবে। তাই আমরা সবাই চাই দেউচা–পাঁচামি কয়লা খনি হোক। এখন আবেদনের তালিকায় জমি দিতে ইচ্ছুক এবং চাকরির আবেদন পত্রের সংখ্যা দেড় হাজার পেরিয়ে গিয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, দেওয়ানগঞ্জ, হরিণশিঙা এবং নিশ্চিন্তপুর মৌজার গ্রামগুলিতে বসবাস করে ৫৫৪টি পরিবার। তাঁরা সক্রিয় হয়ে উঠেছেন জমি দিয়ে চাকরি নিশ্চিত করতে। যার জন্য এখানে এখনও পর্যন্ত ৪০০–র বেশি আবেদন জমা পড়েছে। প্রায় ৮০০ জন চাকরির আবেদন করেছেন। যে নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তারপর নিয়োগপত্র হাতে তুলে দেওয়া হবে।