লোকসভা নির্বাচনের ভোট প্রচারের শেষ দিনে রাস্তা মেরামতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দেব। ভোটের ফল প্রকাশের ৬ মাস পার হতে না হতেই সেই রাস্তা মেরামতির জন্য বরাদ্দ হল অর্থ। যদিও তার সিংহভাগ টাকা দিয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। আর এই নিয়ে ফের একবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ঘাটালের রাজনীতি। রাস্তা মেরামতির কৃতিত্ব ছাড়তে নারাজ তৃণমূল – বিজেপি ২ পক্ষই।
২০০৬ সালে পাকা হয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের বলরামপুর বাজার থেকে যশোড়া কালীবাজার পর্যন্ত রাস্তাটি পাকা হয়। স্থানীয়দের দাবি, শেষ প্রথম, সেই শেষবার পিচের প্রলেপ পড়েছিল রাস্তাটিতে। তার পর গত ১৮ বছরে পিচের চাদর, এমনকী তার তলার ইঁটও অনেক জায়গায় উঠে এসেছে। অথচ ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই রাস্তা দিয়েই রোজ যাতায়াত বেশ কয়েকটি স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রীদের। স্থানীয় ফুল ও সবজি ব্যবসায়ীদের ভরসাও ওই রাস্তা।
গত ২৩ মে ঘাটাল ছিল ঘাটাল বিধানসভা নির্বাচনের ভোটপ্রচারের শেষ দিন। সেদিন স্থানীয় মাইশোরা পঞ্চায়েতে শেষ নির্বাচনী সভা করেন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দীপক অধিকারী। সেই সভা থেকে ভোটে জিতে রাস্তা মেরামতির প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। দেব ভোটে জেতায় রাস্তা মেরামতি হচ্ছে ঠিকই। তবে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার অধীনে তার বেশরভাগ টাকাটাই দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।
জগ
ওদিকে রাস্তা সংস্কারের কৃতিত্ব নিয়ে ইতিমধ্যে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির তরজা শুরু হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, দেবের তৎপরতাতেই শুরু হয়েছে রাস্তার কাজ। ওদিকে বিজেপির দাবি, তৃণমূলের শুধু প্রতিশ্রুতি দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। প্রতিশ্রুতি পালন করতে গেলে হাত পাততে হয় কেন্দ্রের কাছেই।